খেলনা পিস্তলের সাঁজানো ছবি দেখিয়ে গোপালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের এক র্শীষ নেতার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা ও তার ইমেজ ক্ষুন্নের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার গোপালপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগ এ অভিযোগ উপস্থাপন করেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গোপালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম শফিক তার নিজ গ্রাম ডুবাইল হাইস্কুল মাঠে দু’বছর আগে বৈশাখী মেলায় এক শিশু ভাতিজাকে একটি খেলনা পিস্তল কিনে দেন। মেলার অনেক দর্শকের পস্থিতিতে ভাতিজার বায়নার দরুন দোকানের সামনে খেলনা পিস্তল দিয়ে তিনি ফায়ার ওপেন করেন। কৌতুকচ্ছলে অনেকেই ওই ছবি মোবাইলে ধারণ করেন। কেউ কেউ ওই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ওই ছাত্রনেতার ভাতিজা প্রীতির প্রশংসনা করেন। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ দিন কোনো কথা হয়নি। সম্প্রতি টাঙ্গাইলের এক আওয়ামীলীগ নেতা খুনের ঘটনায় বিচারাধীন মামলায় প্রভাবশালী আসামীরা জামিনে মুক্তি পাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে ওই ছাত্রলীগ নেতার পিস্তল কাহিনীর ডালপালা ছড়াতে থাকে। সামাজিক মাধ্যম এবং এক শ্রেণির ভূঁইফোড় অনলাইন নিউজ পোর্টালে ছাত্রলীগ নেতার খেলনা পিস্তলকে আসল পিস্তল আখ্যা দিয়ে মহাকাব্য বানানো হয়। অপপ্রচার চালানো হয় গোপালপুর-ভূঞাপুর আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির এলাকায় কর্মীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিচ্ছেন। ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিকের সেই খেলনা পিস্তলের পুরনো ছবিকে আসল পিস্তল বর্ণনা দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বিতরণের জোর প্রচারণা চালানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিশু ভাতিজাকে আনন্দ দেয়ার জন্য খেলনা পিস্তলের বিষয়টিকে নিয়ে যারা নোংরা রাজনীতি ও কুৎসা প্রচার করেন সেই খুনিরা বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামীলীগ করার যোগ্যতা রাখেন না। খেলনা পিস্তলের ছবি মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে যে কেউ দেখতে পাবেন অপপ্রচারটি কতোটা মনগড়া ও সাঁজানো। ছাত্রলীগের রাজনীতি সুস্থ্যধারায় চাঙ্গা হওয়ায় গোপালপুরে অবস্থানরত একটি স্বার্থান্বেষী মহল যারা ওই খুনিদের পরোক্ষ সমর্থক তারা প্রমাদ গুণছেন এবং ষড়যন্ত্র করে ছাত্রলীগের অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম শফিক। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মুকুল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রহমান বিমান, উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মানিক হাসান মিলু, সম্পাদক আসাদুজ্জামান সোহেল, শহর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান টগর, সম্পাদক রাসেল কবীর, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান জুয়েল, ইকবাল হোসেন, আলমগীর কবীর রানা, শহর ছাত্রলীগের আহবায়ক ফারুক আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমূখ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।