মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কলাগাছিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে নকুল বিশ্বাস সাহিত্য সঙ্গীত একাডেমিতে অর্ধশতাধিক মাকে জ্যান্ত মাতৃ পূজা করেছেন তাদের সন্তানেরা। কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাসের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ব্যতিক্রমী এই পূজার আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, হিন্দু ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে ব্যতিক্রমধর্মী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবার প্রথম জীবিত মায়ের পূজা দেয়ার জন্য একটি মন্দির তৈরি করেছেন যা পৃথিবির বুকে একমাত্র জীবন্ত দেব দেবীর মন্দির। মাদারীপুরে গত ৪ বছর যাবত নকুল বিশ্বাস সাহিত্য সঙ্গীত একাডেমিতে এই পূজার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন পূর্ব কালাগাছিয়া, উত্তর কলাগাছিয়া, চৌহদ্দী, বাহাদুপুর, কমলাপুর, আড়ুয়াকান্দি, কেন্দুয়া, মাঠিভাঙ্গা ও চৌরশির প্রায় অর্ধশত মা এবং তাদের সন্তানরা। এ সময় মায়েরা চেয়ারের ওপর বসে থাকেন এবং তাদের সন্তানেরা মাকে ফুল, চন্দন, তুলসী, দুর্বা দিয়ে পায়ে পূজা করনে। এ পূজা দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানসহ কলকাতা থেকে বিভিন্ন শিল্পীরা আসেন।
মা মিনারা রানী বাড়ৈ বলেন, যে সন্তানেরা ছোট থেকেই মাকে ভক্তি ও শ্রদ্ধা ভরে মায়ের সেবা করে দেবতারা তার পূজা করে। প্রতিটি ঘরেই ছোট থেকে ছেলে-মেয়েরা তাদের মা-বাবাকে ভক্তি, সম্মান করুক এটাই আমি চাই। জ্যান্ত মাতৃ পূজা এই ব্যতিক্রমী আয়োজন। নকুল কুমার বিশ্বাস বলেন, মায়ের গর্ভে ধারন করেই আমরা আজ এ পৃথীবিতে এসেছি। মা নানা দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে সন্তানদের লালন পালন করেন। কিন্তু বড় হয়ে অনেক সন্তান তার মাকে শ্রদ্ধা, ভক্তি, সম্মান করে না। ছোট থেকেই সন্তানরা যাতে তার মাকে সম্মান ও ভক্তি করে তার জন্যই আমি এ পূজার আয়োজন করি। আমি চাই প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রত্যেক সন্তান তার মাকে শ্রদ্ধা, ভক্তি ও সম্মান করুক। সন্তানের অবহেলায় কোনো মা যেন বৃদ্ধাশ্রমে না থাকে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।