ঝাকঝমক পূর্ন ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সখিপুর স্পোর্টস এ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত হাজী নয়ন শরিফ সরকার স্মৃতি কাবাডি টুর্ণামেন্ট ২০০১৯। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে সখিপুর শরিফিয়া ঈদগা মাঠে হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে চরভাগা সুপার স্টার বনাম চরভাগা দেওয়ান কান্দি একতা সংঘের ফাইনাল ম্যাচের মধ্যে দিয়ে টুর্ণামেন্টের সমাপ্তি হয়। ফাইনাল ম্যাচে ২১-৭ ব্যাবধানে চরভাগা দেওয়ান কান্দি একতা সংঘকে পরাজিত করে চরভাগা সুপার স্টার দল বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেয়। বিজয়ী দলকে দেয়া হয় ৪৩ ইঞ্চি এলইডি টিভি এবং রানার্স আপ দল পায় ২৪ ইঞ্চি এলইডি টিভি। এছাড়া দু'দলের প্রতিটি খেলোয়াডকে একটি করে মেডেল দেয়া হয়। টুর্ণামেন্টে অংশ নেয়া বাকি ১০টি দলকে দেয়া হয় সনদ। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পায় বিজয়ী দলের সাদ্দাম খালাসী এবং টুর্ণামেন্ট সেরার পুরস্কার পায় বিজয়ী দলের অধিনায়ক মাইনদ্দিন লস্কর।
মাকসুদুর রহমান মুসু সরকারের সভাপতিত্বে ফাইনাল ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব নাছির কাঞ্চন সরকার। বিশেষ অতিথি, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান সিকদার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এমএ কায়ুম পাইক, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তকি হাওলাদার, সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এনামুল হক, হাজী শফিউল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সোহেল সরকার, সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য আক্তার সরকার, ইলিয়াস সরকার, সেকুল সরকার, থানা যুব লীগের যুগ্ম-আহবায়ক রাসেল আহমেদ পলাশ সরদার, সখিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাদাত হোসেন মন্নু সরকার, আলী আকবর পাইক, চরভাগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অলিউল্লাহ চৌকিদার, বাবুল পাইক প্রমূখ।
হারিয়ে যাওয়া জনপ্রিয় কাবাডি খেলাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য চলতি মাসের গেল ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সখিপুরের শরিফিয়া ঈদগাহ মাঠে সখিপুর স্পোর্টস এ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত হাজী নয়ন শরীয় স্মৃতি কাবাডি টুর্ণামেন্ট ২০১৯ আয়োজন করে। টুর্ণামেন্টে সখিপুর থানার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ১২টি দল অংশগ্রহণ করে। ১২টি দলকে এ, বি, সি, ডি ৪টি গ্রুপে ভাগ করে। এই দলগুলো প্রথম রাউন্ড, কোয়াটার ফাইনাল, সেমি ফাইনালের মধ্য দিয়ে ২টি দল ফাইনালে উঠে আসে।
ইতো মধ্যে থানা/জেলা/দেশি/প্রবাসীদের মধ্যে টুর্ণামেন্টটি সুনাম অর্জন করেছে। খেলা দেখতে মাঠে ছুটে আসে স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে ৯০ উর্ধে বয়সের নারী-পুরুষ। প্রতিদিন প্রায় ৫/৭ হাজার দর্শকের সমাগম হয় টুর্ণামেন্টে। বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে উপস্থিত হয় স্থানীয় সব বয়সের নারীরা। তাদের জন্য আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে আলাদা গ্যালারিও তৈরি করা হয়। টুর্ণামেন্টের প্রতিটি খেলা এ্যাসোসিয়েশনের ফেসবুক লাইভে দেয়াতে দুরে বসে দেশি-প্রবাসী সবাই এক সাথে মাঠের খেলা উপভোগ করে।
নেশাকে না বলি, খেলা ধুলায় মেতে উঠি এই গ্লোগানে ২০১৮ সালে সখিপুর স্পোর্টস এ্যাসোসিয়েশনের যাত্রা শুরু হয়। এই প্রথম বড় কোন টুর্ণামেন্টের আয়োজন করে এ্যাসোসিয়েশনটি। মাসুক কবির রুমেল, হারুন অর রশিদ, কামরুল হাসান (বাবুল) সরকার এই এ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উদ্যোক্তা।
টুর্ণামেন্টে সম্পর্কে উদ্যোক্তারা বলেন, নেশাকে না বলি, খেলাধুলায় মেতে উঠি এই স্লোগানে সখিপুর স্পোর্টস এ্যাসোসিয়েশনের যাত্রা শুরু। সেই লক্ষ্যে হারিয়ে যাওয়া জনপ্রিয় কাবাডি খেলাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্যই এই টুর্ণামেন্টের আয়োজন। আধুনিকতার ছোঁয়া ও কালের বিবর্তনে মহাকালের পাতা থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ খেলা। শৈশবে যেসব খেলাধুলায় দিন কাটিয়েছেন আজকের বয়োবৃদ্ধরা, তারাও এখন ভুলতে বসেছেন সেসব খেলার নাম। আমাদের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু বা কাবাডি। কিন্তু কালক্রমে এই খেলার কদর হারিয়ে যেতে বসেছে। এই টুর্ণামেন্টে দর্শকের উপস্থিতিই বলে দেয় কাবাডি খেলা কত জনপ্রিয়। ৫০ এবং ৬০ উর্ধে কাবাডি খেলোয়াড়রা দর্শকদের আরও বেশি আনন্দ দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ খেলোয়াড়/দর্শক/টিম ম্যানাজারসহ সকলের সহযোগিতায় টুর্ণামেন্টেটি সপল ভাবে সমাপ্ত করেছে পেরেছি। আশা করি আগামীতে আমাদের এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সব সময় ভিন্ন ভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করবো।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।