
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০:৪৫

সরাইল ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেঙ্গু নিধনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে এক লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। এ টাকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গু নিধন বাবদ খরচ না করে হাসপাতালের কর্মচারীদের দিয়ে কাজ করিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গু থেকে বাঁচার জন্য সারা দেশের মতো সরাইল উপজেলা হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য গত ২৯ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে একটি পরিপত্রে এক লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অদ্যবধি হাসপাতালের ভেতরে কিংবা বাইরে কোনো ধরনের মশা নিধনের ওষুধ ছিটায়নি।
হাসপাতালের কর্মচারীরা বলছেন, ডেঙ্গু নিধনের টাকার ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। এ টাকা কিভাবে খরচ করা হয়েছে তা তাদের জানা নেই। সরকার ডেঙ্গু নিধনের জন্য টাকা দিল কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভেতরে থাকা একটি ড্রেন বা নালা পর্যন্ত পরিষ্কার করেনি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অফিসের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য কিছু ওষুধ কেনা হয়েছে। কিন্তু দু’একজন রোগী এসেছিলেন। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্ন কর্মী বলেন, আমরা পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কয়েকদিন দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করলাম কিন্তু হাসপাতাল থেকে আমাদের কোনো টাকা পয়সা দিল না। আমরা কিছু বাড়তি আয় আশা করেছিলাম।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের অফিস সহকারী কাম ক্যাশিয়ার মোঃ ওমর ফারুক বলেন, ডেঙ্গু নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য সরকার এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সেই বরাদ্দের টাকা উত্তোলনও করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দিয়ে মাঝেমধ্যে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করানো হয়। বাইরের শ্রমিক দিয়েও এই পরিস্কারের কাজ করানো হবে। হাসপাতালের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান (বকুল) সাংবাদিকদের জানান,অদ্যবধি এডিস মশা নিধনে কোন প্রকার স্প্রে করা হয়নি হাসপাতালের ভেতরে কিংবা বাহিরে। পরিস্কার পরিছন্নতার কাজ সঠিকভাবে করা দরকার।
