বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ, খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:০৭ অপরাহ্ন
বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ, খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে স্কুল ভবন জরাজীর্ণ হওয়ায় পত্তাশী ইউনিয়নের ২১ নং দক্ষিন কালাইয়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে। এ কারনে দিন দিন কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থী সংখ্যা। তারপরও ভবন নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হওওয়ায় ওই ভবনে এখন ভয়ে কেহ ঢুকছে না বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষকরা পাঠদান করাচ্ছেন।

এ বিদ্যালয়টি ১৯৪০ সালে স্থাপিত হয়। বর্তমান ভবনটি ১৯৯৩ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্মাণ করেন। বিদ্যালয়টি একেবারে জরাজীর্ণ, ছাদ ভেঙ্গে পড়ছে, দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে, প্লাষ্টার খসে পড়ছে, ফ্লোর ভেঙ্গে গেছে এবং কয়েক স্থানে ফ্লোর দেবে গেছে। এ অবস্থা চললেও এখন পর্যন্ত ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। তাই কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শ্রেণি কক্ষগুলো তালাবদ্ধ করে বিদ্যালয় মাঠে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে। এ বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে প ম শ্রেণি পর্যন্ত ৭৭ জন শিক্ষার্থী থাকলেও ঝুকিপূর্ণ ভবনের কারণে শিক্ষার্থী কমে গেছে বলে শিক্ষকরা জানান।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনটি একেবারে জরাজীর্ণ। শিক্ষকরা খোলা আকাশের নিচে রোদের মধ্যে পাঠদান করাচ্ছেন। নতুন ভবনের জন্য অনেকবার আবেদন করলেও নতুন ভবন নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া উপজেলার ৬নং পশ্চিম চাড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯নং উমেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৮ নং চরণী পত্তাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫নং মধ্য কালাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩১ নং পূর্ব চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩০ নং পশ্চিম বালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ৮টি বিদ্যালয়ের ভবন একেবারে জরাজীর্ণ

২১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম লোকমান হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি একেবারে জরাজীর্ণ। তাই কর্তৃপক্ষের নির্দেশে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। ভবন না থাকায় দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পূরবী রানী জানান, ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে বলা হয়েছে। পরিত্যক্ত ও ঝ‚কিপূর্ণ ভবনগুলোর তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এই বিদ্যালয়টির নাম তালিকায় প্রথমে রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান চালিয়ে রাখার জন্য দ্রুত ভবন নির্মাণ প্রয়োজন।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব