বরিশালের হিজলা উপজেলার উত্তর পত্তনীভাঙ্গা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার, ৭ম এবং ৮ম শ্রেণীর ২ জন ছাত্রী, মারুফ খান নামে এক বখাটের হাতে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বখাটে মারুফ গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর পত্তনীভাঙ্গা এলাকার সৌদি প্রবাসী মোঃ ফারুক খানের ছেলে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে, ছাত্রী লাঞ্ছিত হবার ঘটনাটি অনেকটা ধামাচাপা পরে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলে। তাদের কাছ থেকে জানা যায়, কোরবানির ছুটিতে মাদ্রাসা বন্ধ হবার আগে এ ঘটনা ঘটে। এক ছাত্রী মাদ্রাসায় আসার পথে এবং অপর ছাত্রী মাদ্রাসা ছুটির শেষে বাড়িতে যাবার পথে বখাটে মারুফ তাদের শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেছে।
ঘটনাটি ছাত্রী এবং অভিভাবক মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে জানানোর পরেও বখাটে মারুফের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তাই অভিভাবকগণ তাদের মেয়েদের মাদ্রাসায় পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। মাদ্রাসা এলাকার সাধারণ মানুষ জানান, মাদ্রাসার সাথেই মারুফের বাড়ি, তাই অনেকেই তাকে ভয় পায়। এটা তার নতুন ঘটনা নয়, সম্মানের ভয়ে মারুফের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলে না। বখাটে মারুফের মায়ের কাছে ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে সে জানায়, এটি একটি সামান্য ঘটনা। ছেলের অপরাধের কারণে মাদ্রাসার সুপারের দোকানের মধ্যে জুতা পেটা করা হয়েছে। এটাতো সেদিনই মাটি চাপা দেয়া হয়ে গেছে।
তাছাড়া সুপার বলেছেন, মারুফের বোনকে এই মাদ্রাসায় ভর্তি করালে ওর অপরাধ মাফ হয়ে যাবে। এটা নিয়ে এখন বাড়াবাড়ির কিছু দেখি না। এদিকে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা রুহুল আমিন জানান ভিন্ন কথা। তিনি জানান ভুক্তভোগী মেয়ে দুজন, তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মাদ্রাসা খুললে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে তিনি কি ব্যবস্থা নিবেন তা জানাতে পারেননি। তিনি কেনো তার উর্ধ্বতনকে বা হিজলা থানায় ঘটনাটির ব্যাপারে জানাননি, এমন প্রশ্নের জাবাবে সুপার চুপ থাকেন। গুয়াবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবং এই মাদ্রাসার সভাপতি অধ্যাপক শাজাহান তালুকদার ঘটনাটি শুনেছেন বলে জানান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী সফিউল আলম জানান, এ ব্যাপারে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে কিছুই জানায়নি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।