শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ ফতুল্লায়, আহত ২০

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৮ই আগস্ট ২০১৯ ১১:১৮ অপরাহ্ন
শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ ফতুল্লায়, আহত ২০

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় বেতন-বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে পাঁচ শতাধিক পোশাকশ্রমিক। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফতুল্লার জাজ অ্যাপারেল গার্মেন্টের শ্রমিকরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করলে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অবরোধকালে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুড়ে মারতে শুরু করে। এ সময় পুলিশ শর্টগানে ৪৫ রাউন্ড ও  গ্যাসগানে পাঁচ রাউন্ডের মতো ফাঁকা গুলি ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ পুলিশ ও ১০ শ্রমিক আহত হন।আন্দোলনের ব্যাপারে জানতে চাইলে গার্মেন্ট শ্রমিক সামছুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, জাজ অ্যাপারেলের কাছে তাদের গত পাঁচ মাসের ওভারটাইম ও দুই মাসের বকেয়া বেতন পাওনা। ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকরা ওই টাকা দাবি করলে  মালিকপক্ষ ‘দেই-দিচ্ছি’ বলে সময় ক্ষেপণ করছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বকেয়া বেতন চাইতে গেলে মালিক পক্ষের লোকজন অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে দুই শ্রমিককে মারধর করেন বলে দাবি সামছুলের। 

ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে কারখানার পাঁচ শতাধিক শ্রমিক সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। সে সময় কিছু শ্রমিক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বলে জানান এ গার্মেন্ট শ্রমিক।এদিকে শ্রমিকদের পাওনার বিষয়টি অস্বীকার করে জাজ অ্যাপারেলের এজিএম আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিকদের অভিযোগ মিথ্যা। তারা চলতি মাসের বেতন আর ঈদ বোনাস পাবে। মালিক পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখনও মাস শেষ হয়নি, তাই অর্ধেক মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়া হবে। কিন্তু শ্রমিকরা তা না মেনে কারখানায় ভাংচুর ও সড়ক অবরোধ করে।এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, বিক্ষোভকালে নানা ভাবে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরে গিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান করানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারা পুলিশের কথা না শুনে উল্টো ইট-পাটকেল ছুড়ে ১০ পুলিশ সদস্যকে আহত করেন। এ সময় পুলিশ শর্ট গানের ৪৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মাসুদুর রহমান জানান, শ্রমিকদের অবরোধকালে শিল্প পুলিশ শর্টগানে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও পাঁচ রাউন্ডের মতো গ্যাসগানের গুলি ছুড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মালিক পক্ষ শ্রমিকদের কারখানায় ডেকে নিয়ে পুরো মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।