টেকনাফে বন্ধুকযুদ্ধে ডাকাত ও ইয়াবা কারবারি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
আমান উল্লাহ কবির, উপজেলা প্রতিনিধি টেকনাফ (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: শনিবার ৩রা আগস্ট ২০১৯ ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
টেকনাফে বন্ধুকযুদ্ধে ডাকাত ও ইয়াবা কারবারি নিহত

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন ডাকাত ও প্রতিপক্ষের গুলিতে এক ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছেন। নিহত ডাকাতরা হচ্ছে আইয়ুব (৩৫), জোনায়েদ (৩২),  মোস্তাক (৩১) ও মাদক ব্যবসয়াী ইমরান মোল্লা (২৭)। বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হন। শনিবার ভোররাত তিনটার দিকে টেকনাফের নূরউল্লাহ পাহাড় ঘোনা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধ ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে পৃথক এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাস জানান, শনিবার ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার নুরউললা ঘোনা নামক পাহাড়ে একাধিক মামলার পলাতক  আসামি আবদুল হাকিম ডাকাত ও কুতুবদিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানার দুর্ধর্ষ পলাতক আসামি জুনায়েদ ডাকাত, আয়ুব ডাকাত, মোস্তাক ডাকাত সহ ১০/১৫ জন ডাকাত  অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে  ডাকাতি করার জন্য জড়ো হয়েছে।

ওই সংবাদে পুলিশের একটি দল অভিযানে গেলে   ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে  এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত ফোর্স প্রেরণ করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান  ডাকাতের এলোপাতাড়ি গুলিকে তোয়াক্কা না করে গুলি করতে করতে কৌশলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। একপর্যায়ে ডাকাতের গুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া,  এএসআই সজিব, কন্সটেবল মেহেদী  গুলিবিদ্ধ হন।  গুলাগুলি থামলে অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ জুনায়েদ ডাকাত, আয়ুব ডাকাত ও মোস্তাক ডাকাতদের গ্রেফতার করেন পুলিশ। ঘটনাস্থল হতে ৭টি অস্ত্র, ৫টি কিরিচ, ২৫ রাউন্ড গুলি  উদ্ধার করা হয়। গুরুতর  আহত ডাকাত জুনায়েদ, আয়ুব, মোস্তাককে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারসদর  হাসপাতালে প্রেরণ করলে  কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে গভীর রাতে অপর একটি অভিযানে এস আই মসিউর রহমান ফোর্স সহ মেরিন ড্রাইভ রোডের দরগার পাড়া নামক স্হানে ডিউটি করাকালীন একটি সিএনজি কে রাস্তার পাশে সন্দেহজনক ভাবে দাঁড়ানো দেখে পুলিশ উক্ত স্থানে গেলে এক ব্যক্তিকে গুলি করে ২ জন লোক পালাতে থাকে। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে  অস্ত্রসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। ধৃতরা হচ্ছে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার পশ্চিম এনায়েতপুরের মোখলেছুর রহমানের পুত্র সাইফুদ্দিন শাহিন (৩৮) ও টেকনাফ থানার হাতিয়ার ঘোনা এলাকার মৃত বাচা মিয়ার ছেলে মোঃ সিদ্দিক (২৭)। এসময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায়  মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার গাংগিয়ারকুল গ্রামের মৃত জহির মোল্লার ছেলে ইমরান মোল্লা (২৭) কে উদ্ধার করে।

তাহারা জনৈক খলিলের নিকট থেকে ইয়াবা কিনে তা ইমরান মোললাকে খাইয়েছে বলে জানিয়েছেন। ইয়াবা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সাইফুদ্দীন শাহীন ও মোঃ সিদ্দিক তাদের ব্যবসায়ীক পাটনার ইমরানকে গুলি করেছে মর্মে স্বীকার করেছে। গুলিবিদ্ধ ইমরান মোললা কে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক  মৃত ঘোষণা করেন। অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত সাইফুদ্দীন শাহীন ও মোঃ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ওসি।

ইনিউজ ৭১/এম.আর