ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় গত ১৪ জুলাই থেকে ১০ দিন দাপ্তরিক কাজ ও সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পেনশনসহ বেতন-ভাতার দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পৌরসভার কার্যক্রম বন্ধ রেখে দাবী আদায়ের জন্য ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন। মঙ্গলবার সকালে পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন সেবা নেয়ার জন্য জন্য পৌরসভার বাসিন্দারা দাড়িয়ে আছে। টানা দশদিন ময়লা আবর্জনা পরিস্কার না করায় পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে জমে গেছে ময়লা। বন্ধ রয়েছে টিকাদান কর্মসূচি, কর সংগ্রহ, নাগরিকত্ব সনদ,ট্রেড লাইসেন্স প্রদান, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন,ঘর-বাড়ির নকশা অনুমোদন সহ দৈনন্দিন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেবাগ্রহীতারা ফিরে যাচ্ছেন।
পৌরসভার এক নাম্বার ওয়ার্ডের শহিদুল হক, রফিজল মৃধা সহ আরো অনেকে জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ প্রায় শেষের দিকে। অথচ তারা জন্ম নিবন্ধন সনদের কারণে ভোটার হতে পারছেন না। পৌর শহর ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন, জামাল হোসেন জানান, ট্রেড লাইসেন্স ও নকশা অনুমোদনের কপির জন্য তাদের ব্যাংক লোন আটকে আছে। সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, দিনের পর দিন আন্দোলনের নামে পৌরসভা বন্ধ রেখে পৌরবাসীকে দূর্ভোগের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় অবস্থানরত বোরহানউদ্দিন পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইউসুফ আলী,সাধারণ সম্পাদক মো. মঞ্জুর হোসেন জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাজে ফিরছি না। বুধবার থেকে আমরা একই স্থানে অনশন কর্মসূচী পালন করব।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম নাগরিক সেবা দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি আশা করছি সরকার পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিয়ে আন্দোলনের অবসান ঘটাবেন। এছাড়া যুগ যুগ ধরে পরে থাকা বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের পরিত্যাক্ত যায়গা পৌরসভাকে হস্তান্তর করলে পৌরসভা আর্থিক স্বচ্ছলতার দিকে এগিয়ে যেতে পারে। পৌরসভা করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু নূন্যতম একটি পাবলিক টয়লেট করার জায়গা পৌরসভার নেই। অন্য স্থাপনার তো প্রশ্নই আসেনা।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।