‘ঐতিহাসিক ছয়-দফা’ দিবস শুক্রবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৬ই জুন ২০১৯ ১১:৩৯ অপরাহ্ন
‘ঐতিহাসিক ছয়-দফা’ দিবস শুক্রবার

১৯৬৬ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত জাতির মুক্তির সনদ ‘ছয় দফা’ দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়। আগামীকাল শুক্রবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস।


বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ৭ জুন এক অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এর মধ্য দিয়েই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।


এই দিন বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা আদায়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন। শহীদের রক্তে ৬-দফা আন্দোলন স্ফুলিঙ্গের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র; রাজপথে নেমে আসে বাংলার মুক্তিকামী জনগণ।


ছয় দফা দিবসের কর্মসূচি:


ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবেন সর্বস্তরের নেতাকর্মী।


কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী সকল সাংগঠনিক জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে যথাযথ মর্যাদায় পালন করার জন্য নেতাকর্মী ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণেও ছয় দফার প্রতিটি দফার পর্যালোচনা ছিল। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ও মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে যুদ্ধ পরিচালনা এবং দেশের অভ্যন্তরে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় ছয় দফার ভিত্তিতে। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ছয় দফার ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭ জুন ‘ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসকে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করে আসছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সমগ্র জাতির সাথে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ ও পালন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।