কাউখালীতে মৃত্যুঝুঁকিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ১২ই মে ২০১৯ ০৩:৪০ অপরাহ্ন
কাউখালীতে মৃত্যুঝুঁকিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

পিরোজপুরের কাউখালীতে পরিত্যাক্ত দুইটি বিদ্যালয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। উপজেলার ৪২ নম্বর পূর্ব শিয়ালকাঠী হাজিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিয়ালকাঠী মোল্লারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চরম আতংকে রয়েছে। এ দুটি বিদ্যালয়ের ভবনগুলো কয়েক বছর আগে থেকে জ¦রাজীর্ণ পাঠদানের পর বিদ্যালয় দুটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিকল্প পাঠদানের ব্যবস্থা না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিত্যাক্ত ভবনে শ্রেণী কক্ষে শিশুদের পাঠদান করাচ্ছেন। স্কুল ভবনের পলেস্তার, ভিম, খসে খসে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা ভবন ধসের আতঙ্কের মাঝেই বিদ্যালয়ে কাটায়। আর অভিভাবকরা জীবনের ঝুঁকি জেনেও ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে।

উপজেলার ৪২ নম্বর পূর্ব শিয়ালকাঠী হাজিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ সোহেল হোসেন তালুকদার জানান, প্রতিদিনিই ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভবন পুণনির্মাণ কিংবা সংস্কার করা না হলে একজন শিক্ষার্থীও রাখা দায় হয়ে পড়বে। বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৮ জনে এসে দাড়িয়েছে।  অপর দিকে স্থানীয় মোল্লার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা একেবারে হাতে গোনা কয়েকজনে এসে দাড়িয়েছে।

জানাগেছে, কাউখালী উপজেলার ৬৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুকিপূর্ণ ভবন রয়েছে ৫টি। এর মধ্যে অধিক ঝুকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে পূর্ব শিয়ালকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোল্লারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দত্তেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শীর্ষা আব্দুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিরাপাড়া কে.এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ভবনগুলো মাত্র এক/দেড় যুগ পূর্বে নির্মাণ করা হলেও নি¤œ মানের কাজ করায় এবং কর্তৃপক্ষের কোন তদারকি বা উদাসিনতার কারনে ভবনগুলোর এই বেহাল দশা হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবী করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় কাউখালী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায় বলেন, গ্রামীণ অর্ধেক দ্যিালয়ের ভননেই সমস্যা। এর মধ্যে মডেল স্কুলসহ ৫টি বিদ্যালয় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। মডেল স্কুলের দোতলা পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে ১০ বছর আগে। আজও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে মৃত্যুঝুঁকিতেই আমাদের পাঠদান করে হচ্ছে। কাউখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার জসিম আহামদ জানান, উপজেলার অধিক ঝুকিপূর্ণ ভবনগুলো নির্মানের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও কাঠ ও টিন সেট স্কুল ভবনগুলো পূর্ণঙ্গভবন করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত  করা হয়েছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব