রোজা: সরাইলে 'পানির মাছে আগুন', চড়া দরে সবজি

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো: তাসলিম উদ্দিন, উপজেলা প্রতিনিধি সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশিত: সোমবার ৬ই মে ২০১৯ ০১:৩৯ অপরাহ্ন
রোজা: সরাইলে 'পানির মাছে আগুন', চড়া দরে সবজি

রমজানের আগের দিন ঠিক এ মুহূর্তে  সরাইল বাজারে হঠাৎ বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম।  সবজাতের মাছ ১০০ থেকে ২০০ টাকা কেজি পর্যন্ত বাড়তি মূল্য পাওয়া গেছে।আর বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিক্রেতারা বলছেন  বাজারে মাছ পর্যাপ্ত না থাকায় বাড়তি দাম। ক্রেতারা বলছেন, রমজান এলেই মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। 

সোমবার (৬এপ্রিল)  সরাইল উপজেলার সদর সকাল বাজার, উচালিয়া পাড়া মোড়, বিশ্ব রোড়, কালিকচ্ছ বাজার, শাহবাজপুর বাজারসহ সৈয়দ টুলা ব্রিজের  পাশে জমে উঠা মাছ বাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।এসব বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে সবধরনের মাছ। এসব বাজারে প্রতিকেজিতে ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, রুই ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, বাইলা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, পাবদা  ৭০০ থেকে ৮ ০০ টাকা কেজি, টেংরা কেজি ৮ ০০ থেকে ১০০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, শিং ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, চিতল ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি। এছাড়া এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশের দাম দুই হাজার টাকা।এসব বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে ১০০ টাকা কেজি দরে। অথচ দুইদিন আগে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কাঁচাপেঁপে, টমেটো ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। এসব সবজি এক সপ্তাহ আগে ৩০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে। কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে পটল, ধুন্দুল, বরবটি, করলা, উস্তা, কচুর লতি, বেগুন, গাজর, ঢেঁড়শ, চিচিঙা।

প্রতিকেজি পটল বিক্রি করতে দেখা গেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৭০, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ও চিচিংগা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।এছাড়া বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ ও জালি কুমড়া। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।বেড়েছে সব ধরনের শাকের দাম। দাম বাড়া পণ্যের তালিকায় রয়েছে- পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আলু। সপ্তাহ ব্যবধানে পণ্যগুলোর দাম পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ-আলুতে পাঁচ টাকা, আদা-রসুনে ২০ টাকা দাম বেড়েছে।ফজল হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, রমজান দেখে পানির মাছে আগুন?  রজমান মাস আসা মানেই মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। বাজারে সব ধরনের মাছ পর্যাপ্ত থাকলেও তারা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।সবজি বিক্রিতা হানিছ বলেন, রমজান তাইপাইকারি বাজারে সবজি কম থাকায় সব ধরনের সবজিতে বাড়তি দাম রয়েছে। সবজির সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে যাবে।তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস, চাল, ডাল, ডিম, লবণসহ বেশিরভাগ মুদি পণ্যের দাম। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে, লাল লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, পাকিস্তানি কক প্রতিপিস বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি, মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে  ৫০০ টাকা।