কক্সবাজারের উখিয়া ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, এমএসএফ হাসপাতাল, কোটবাজার অরজিন হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়ছে। উখিয়া সদর মালভিটা, কাজিপাড়া, দোছড়ি, খয়রাতিপাড়া, হরিণমারা, গয়ালমারা, রাজাপালং, জালিয়াপালং,রত্নাপালং, বালুখালী, থাইংখালী থেকে বেশি রোগী হাসপাতালে আসছে। কুতুপালং, লম্বাশিয়া, ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকেও রোগী আসছে। ডাক্তাররা বলছেন, ডায়রিয়া বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ আবহাওয়া পরিবর্তন ও অধিক গরমের পাশাপাশি দূষিত পানির প্রকোপও রয়েছে। প্রচন্ড গরমে পানির স্থর নিচে নেমে যাওয়ায় উখিয়াবাসী নিরাপদ পানি পাচ্ছে না।এমএসএফসহ ক্যাম্পে বিভিন্ন হাসপাতালের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তারা দিবারাত্রি সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আক্রান্ত রোগীদের ৩৫ শতাংশই শিশু।
অন্যদিকে ৪০ শতাংশ রোগী তীব্র ডায়রিয়ার লক্ষণ নিয়ে এসেছে। তীব্র ডায়রিয়ায় শরীর থেকে দ্রুত পানি বের হয়ে যায়। অল্প সময়ে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে রোগী ও তার স্বজনদের ভিড়। ডাক্তাররা বলেন, ১০-১২ দিন ধরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ডাক্তার মোহাম্মদ আয়াছ বলেন, ডায়রিয়া থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকার জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যেকোনো খাবার গ্রহণের আগে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। রাস্তার পাশের খোলা খাবার, শরবত ইত্যাদি থেকে বিরত থাকাই ভালো। এমনকি হোটেলের খাবারের সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরসহ এনজিওদের হাসপাতালে বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হয়। করণীয়- পানি ফুটিয়ে খেতে হবে। ডায়রিয়া দেখা দিলে বিধি মেনে স্যালাইন খেতে হবে। অবস্থার উন্নতি না হলে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে যেতে হবে। রাস্তার উন্মুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। আবহাওয়ায় গরম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রোগ-জীবাণুর বিস্তার ঘটে। খাবার সহজে নষ্ট হয়। এ সময় বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খাওয়ার আগে ভালো করে হাত ধুতে হবে। পানি হতে হবে নিরাপদ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।