সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নয়,৩০ বছরই থাকবে: প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল ২০১৯ ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নয়,৩০ বছরই থাকবে: প্রতিমন্ত্রী

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব সংসদে উঠলেও তা নাকচ হয়ে গেছে। সরকার আপাতত চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়াচ্ছে না। বর্তমান বয়সসীমা ৩০ বছরকেই সরকার যৌক্তিক মনে করছে।বৃহস্পতিবার রাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন উত্থাপিত প্রস্তাব নাকচ করে এসব কথা বলেন। পরে সদস্যদের কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটি নাকচ হয়ে যায়।এর আগে সংসদের বেসরকারি দিবসে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বগুড়া-৭ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাংসদ রেজাউল করিম বাবলু প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। ‘সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা ‘৩৫ বছরে উন্নীত করা হোক’ লিখে প্রস্তাবটি আনেন তিনি।তবে নানা যুক্তি দেখিয়ে ওই প্রস্তাবে রাজি নন বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি রেজাউল করিম বাবলুকে প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের দাবি জানান। তবে সাংসদ বাবুল সেটি প্রত্যাহারে রাজি না হলে কণ্ঠভোটের আয়োজন করা হয়। কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা।

গত জুনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৯তম সভায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়। ওই সময় কমিটির ২১তম সভায় ৩২ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছিল।চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, বাংলাদেশে কোনোভাবেই ২২ বছরের আগে শিক্ষাজীবন শেষ হয় না। অথচ দেশে সরকারি চাকরিগুলোয় আবেদনের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর। হিসাব অনুযায়ী, মাত্র পাঁচ বছরে শিক্ষাজীবন শুরু হলেও শুধু মাধ্যমিক পড়তেই জীবনের ১৫ বছর চলে যায়। আর উচ্চমাধ্যমিক (১৭ বছর), স্নাতক (২১ বছর) ও স্নাতকোত্তর পড়তে লাগে ২২ বছর। সেক্ষেত্রে নন-পিএসসি চাকরি ক্ষেত্রে আবেদন শুরুর বয়স ১৮ বছর রাখার আইনটি একেবারেই অকার্যকর। আবার বর্তমানে ক্যাডারের ক্ষেত্রে ২১ বছর বয়সে আবেদনের আইনটিও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বলে তাদের দাবি।চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে বিভিন্ন সময় রাজপথে আন্দোলনও হয়েছে। সরকারি ও বিরোধী দলের নেতারাও বিভিন্ন সময় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন।