শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে তিনি শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।এসময় লোটে শেরিং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ তিনি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।এরআগে, সকাল ৮টা ৮মিনিটে লোটে শেরিং তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে রয়েল ভুটান এয়ারলাইনসে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।বিমান থেকে নামার পর ভিভিআইপি টার্মিনালে লোটে শেরিং ও তার স্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে লোটে শেরিংকে গার্ড অব অনার প্রদান করে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়
জানা যায়, জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো শেষে লোটে শেরিং ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় ভুটান দূতাবাসে এবং পরে সবুজবাগে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে যাবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।পরদিন শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন লোটে শেরিং। বৈঠকে দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া দু’দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। এছাড়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যাবেন তিনি। ডা. লোটে শেরিং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। পরে বাংলাদেশেই সার্জারিতে উচ্চতর ডিগ্রি নেন তিনি। দেশের ফিরে চিকিৎসা পেশায় যোগ দেন লোটে শেরিং।২০১৩ সালে রাজনীতিতে সক্রিয় হন লোটে শেরিং। ২০১৮ সালের নির্বাচনে চমক দেখায় তার দল। নির্বাচনে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে’র দলকে হারিয়ে নভেম্বরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হন লোটে শেরিং।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটিই প্রথম কোনো রাষ্ট্র প্রধানের বাংলাদেশ সফর।সোমবার (১৫ এপ্রিল) তিনি বাংলাদেশ সফর শেষে ভুটানে ফিরবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।