গত কয়েক দিন ধরে আলোচনায় স্থান পায় উখিয়ায় আরো একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প হচ্ছে!।এ বিষয়ে সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হয়।বিভিন্ন তরফ থেকে ক্যাম্প স্থাপন বন্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ভাইরাল হয়।অবশেষে টনক নড়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের।কক্সবাজারের উখিয়ায় নতুন করে রোহিঙ্গা শিবিরের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের মুছারখোলা বনবিটের আওতাধীন চৌখালী নামক পাহাড়ী এলাকায় আগরবাতির বাগান কেটে একটি নতুন রোহিঙ্গা শিবির স্থাপনের সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয় প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে।সংবাদের তথ্য সুত্র ধরে নতুন নির্মিত রোহিঙ্গা শিবিরের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী। বনভূমি নিধন এবং পাহাড়ের পর পাহাড় কেটে নতুন রোহিঙ্গা শিবির নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পর এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জানা গেছে, উখিয়া-টেকনাফে ৩২টি রোহিঙ্গা শিবির থাকার পরও উখিয়ার চৌখালীতে নতুন করে আরো একটি রোহিঙ্গা শিবির স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এনজিও সংস্থা ব্র্যাক ইতিমধ্যে সেখানে বুলডোজার দিয়ে বেশ কয়েকটি পাহাড় কেটে ফেলেছে। এ নিয়ে গ্রামবাসী শত প্রতিবাদ করার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েন। পরে এ খবর কালের কণ্ঠসহ অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশ হবার পর টনক নড়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।পালংখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুরুল হক বলেন, স্থানীয়দের উচ্ছেদ করে রোহিঙ্গা শিবির স্থাপনের জন্য কার্যক্রম শুরু করায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। কারণ সেখানে বসবাসরত শতাধিক পরিবারের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
যার ফলে তাদেরকে পথে বসতে হবে। কিন্তু শিবির নির্মাণে কাজ বন্ধে হয়ে যাওয়া স্বস্তি ফিরেছে গ্রামবাসীর মাঝে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জারীকৃত পত্রে উল্লেখ আছে নতুন করে রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো ধরণের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। এই নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে বেশ কয়েক দিন যাবৎ পালংখালী ইউনিয়নের চৌখালী মাঠ নামক স্থানে ৪/৫টি বুলডোজার দিয়ে নির্বিচারে স্থানীয় জন-সাধারণের সামাজিক অংশীদারিত্ব সবুজ বনায়ন নিধন করে পাহাড় কাটছিল কয়েকটি স্বার্থন্বেষী এনজিও সংস্থা। পত্র-পত্রিকার লেখালেখির কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভুক্তভোগী গ্রামবাসীসহ পালংখালী ইউনিয়নবাসীর মাঝের স্বস্তি ফিরেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।