উত্তাল মার্চের এই দিনে দেশের বিভিন্নস্থানে মুক্তিকামী জনতার উপর গুলি চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। টঙ্গিতে হানাদারদের গুলিতে নিহত হয় ২জন। বিক্ষুব্ধ জনতাকে স্তব্ধ করে দিতে কারফিউ জারি করে পাকিস্তান সরকার। ঢাকায় সাধারণ জনতার সঙ্গে একাত্ম হয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী, লেখক, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরা। আন্দোলন সংগ্রামে নির্বিচারে গুলি চালানোর প্রতিবাদে ও শোক মিছিলে অংশ নেন ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বস্তরের জনতা। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও রাস্তায় নেমে আসে। শহীদ মিনারে সমাবেশ করে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন।
পূর্ব পাকিস্তানের অফিস আদালতসহ প্রায় সবখানেই প্রতিষ্ঠিত-পালিত হতে থাকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা। হরতালের দিনগুলোতে জরুরি কাজ চালানোর জন্য সরকারি বেসরকারি সব অফিস দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু। মসজিদ ও মন্দিরে চলে বিশেষ প্রার্থনা সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়। জুলফিকার আলী ভুট্টো বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে। মুক্তিকামী বাঙালীর কৌতুহল তখন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ঘিরে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।