কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালী জামতলী বাঘঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় রোহিঙ্গারা স্থানীয় বাসিন্দা একজন প্রতিবন্ধী হাফেজ এর ভোগদখলীয় জমিতে ব্যাপক ক্ষতি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী গ্রামের মৃত হাছন আলীর পুত্র প্রতিবন্ধী হাফেজ আবুল হোছাইন এলাকার এমপিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।
প্রতিবন্ধী হাফেজ আবুল হোছাইন জানান, উখিয়ার থাইংখালী জামতলী বাঘঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্লক নং-এ-৫ এর কতিপয় রোহিঙ্গা কর্তৃক আবেদনকারীর ভোগ দখলীয় জায়গা জবর দখর করে ঘর নির্মাণ করাসহ গাছপালা কেটে নানাভাবে ক্ষতিসাধন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি একজন প্রতিবন্ধী লোক হই (প্রতিবন্ধী আই,ডি নং-১৯৭২২২১৯০৭৯৫৪১৯৪৮-০৪)। স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করিতে অক্ষম। উক্ত স্থানে আমার দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় ৫০ শতক জমি রয়েছে। যাহাতে আমি বনায়ন সৃজন, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগী ইত্যাদি পালন করিয়া পরিবার পরিজন নিয়া বসবাসক্রমে ভোগ দখলে নিয়ত আছি। কিন্তু রোহিঙ্গা আসার পর হইতে আমার উক্ত জায়গার অধিকাংশ জমি গায়ের জোরে জবর দখল করে তথায় প্রায় ২০/৩০ টি ঘর নির্মাণ করে এবং রোহিঙ্গা কর্তৃক আমার গাছপালা কেটে ও গরু-ছাগল চুরি করে আমার আনুমানিক ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে।
এছাড়া রোহিঙ্গা লোকজন প্রতিনিয়ত তাহাদের নানা ময়লা আবর্জনা আমার ঘরের আঙ্গিনায় ফেলেয় বসবাসে চরম অনুপযোগী করিয়া তুলেছে। রোহিঙ্গা লোকজন আমার এহেন ক্ষতিসাধন করতে থাকলেও ইতিপূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাকে ক্ষতিপূরণসহ নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করায় আমি নীরবে সহ্য করেছি। কিন্তু অদ্যাবধি আমাকে কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ কিংবা সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করেনি। আমার স্ত্রী ও এক কন্যার চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিতে বললেও কোন চাকুরীর ব্যবস্থা করা হয় নাই। যার ফলে আমি একজন অসহায় লোক হিসাবে সবদিক দিয়ে বঞ্চিত এবং চরমভাবে ক্ষতিসহ নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। আমার দাবি হচ্ছে উল্লেখিত ক্ষতিপূরণ প্রদান পূর্বক রোহিঙ্গা লোকজন কর্তৃক আমার বসবাসের উপর এহেন অত্যাচার, নির্যাতন, জায়গা জবর দখল ইত্যাদি বন্ধ করা নতুবা তাদেরকে আমার জায়গা হতে উচ্ছেদ করে দেওয়া কিংবা আমাকে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ প্রদান করে আমার স্ত্রী ও কন্যার জন্য এনজিও-তে চাকুরীর ব্যবস্থা করা’।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।