জীবন যুদ্ধে জীবিকার তাগিদে মানুষ হরেকরকম পেশাকে বেছে নেয়। আর যদি মেধা, শ্রম ও ইচ্ছাশক্তি থাকে তাহলে যে কোন কাজেই বা পেশাতে সফলতা অর্জন সম্ভব। আজ সরাইলের সানু মোল্লা মার্কেটে দীর্ঘ সময়ের সুনামের সাথে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা কবি ইয়াসিন খাঁনের সঙ্গে দেখা। তখন তাকে ডাক দিয়ে বল্লাম তোমার একটি লিখা সাপ্তাহিক তিতাসে ছাপা হয়েছে। এ সময় আমার পাশে বন্ধু জুয়েল ও সম্রাট ফার্নিচারের মালিক দুলাল ও ছিলেন , তখন সে রিক্সার হেন্ডেল থেকে নেমে সম্রাট ফার্নিচারের ভিতরে প্রবেশ করে, বলে ভাই আমার রিপোর্ট ছাপা হবে বিশ্বাস করি না। তখন তার খাতে কয়েকটি পেপার দিলাম দেখে শত কষ্টের মাঝে একটু হাঁসি, পেপার পড়ে আর এ প্রতিবেদকের মাধ্যমে জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একটা কথাই সবাই শুনে রাখুন? আমি নিজ অন্তর থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি জনপ্রতিনিধি হয়ে উন্নয়নের সুন্দর আলোর পথে এনে দিবো । যেন প্রতিটি সমাজে গরিব অসহায় মানুষ গুলো আছে তাদের পাশে দাঁড়াবো।
গরিব মানুষরা কতটা নিরোপায়ে দূর্বল একমাত্র আমি জানি। এজন্যই আমি নিজের সাথে প্রতিজ্ঞা করেছি আমি মাঠে সেই অসহায় মানুষের জন্য লড়ব। এ সময় ইয়াছিন খাঁন বলেন, আমি শপথ করেছি, এবার যেভাবেই হোক। আমাকে কোনো দলীয় ভাবে কোন মনোনয়ন দেওয়া হবে না তা কিন্তু ভালো করেই জানি।জানি বিদ্বায় স্বতন্ত্র ছাড়া উপায় নাই আগে ভাগে মনের বিবেক কাটগড়াতে রায় দিয়ে জন প্রচারণা শুরু করেছি। কোনটা লিমিটেড কোনটা আন লিমিটেড সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। এটা সংসদ নির্বাচন কিংবা উপজেলার নির্বাচন ও নয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হল একটা জনসেবা ও অসহায় সুখ- দুঃখের সরকারি অনুমোদনের চাওয়া পাওয়ার তাদের স্বার্থে খরচ করা। কিন্তু আজ তা হয় না। এর কারন হল আজ কাল মানুষ তার পরিচয় আর ভাব দেখাবার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে। পরে দেখা যায় যে মানুষের ধারায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান হল সেই মানুষটাকে তুচ্ছ ভেবে কথা বলে। কেন, কেউ কি বলতে পারবেন? যেমন মনে করেন সবাই আমাকে যার যার অর্থ সামর্থ অনুযায়ি আমাকে বিনা অর্থে চেয়ারম্যান বানালেন, জনগনের সুযোগ সুবিধা-অসুবিধার সমাধান দেওয়ার জন্য।
এখন আমি যদি কালিকচ্ছ ছেড়ে বিশ্বরোড গিয়ে বাড়ি বানিয়ে বাস করি আর আরামে বসে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘুমায়, তাহলে কি আমি জন প্রতিনিধি? তখন যদি এমন কেউ বলে উঠে কিরে চেয়ারম্যান? চেয়ারম্যান কি তোর বাপের টাকায় হয়েছিস্? এই কথাটা কবি ইয়াসিন খাঁনকে বলাটা সবার বেলায় সহজ হবে। কিন্তু অন্য কোনো চেয়ারম্যানের কাছে বললে পার পাবেন দূরের কথা মাফ চাইতে হবে। কারন কেন? লাখ লাখ টাকা দিয়ে গদিতে বসেছে। জনগনের বাপের টাকায় নয়। এখন বলবেন এটা কোনো কথা হল ইয়াসিন ভাই। হে এটাই আজ বাস্তব বর্তমান যুগ। টাকা দিয়ে মানুষ কিনে পেলে।অবশেষে ফলাফল পায় শূন্য । কারন ঐ যে একটা নোটের লোভ সামলাতে পারেননি তাই,আজ সমাজে ভালো ভাবে কোনো উপকার পায়নি। এখন থেকে পাবেন এই ইয়াসিনের পাশে দাঁড়ান।দেখবেন জয়ের পর দিন দিন কসম আল্লাহ কতটুকু উন্নয়ন আর উপকার করি। কতটুকু উপকার করার মত আমার জ্ঞান আর ইচ্ছা শক্তি আছে একমাত্র আল্লাহ্ পাক ভালো ভাবেই জানেন। আমি আশা করি আমাকে ছোট মানুষ হিসেবে না দেখে,তুচ্ছ আর হিংসা না করে আমাকে উৎসাহিত করুন। শ্রম ও সহযোগিতা করুন। আমার ইচ্ছা শক্তি ভাবনা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।