গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর হাতেম আলী বিএল উচ্চবিদ্যালয়ের দুর্নীতি নিয়ে পল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। উভয় পক্ষ গতকাল সোমবার স্থানীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য আয়নাল হোসেন লিখিত অভিযোগে জানান, প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল তালুকদার ইন্টারভিউ বোর্ডে তৃতীয় হন। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটিকে বিপুল অঙ্কের উৎকোচ দিয়ে তিনি প্রধান শিক্ষকের পদ বাগিয়ে নেন। এজন্য স্কুলে যোগদানের পর স্টাফরা তাকে বয়কট করে ক্লাস বর্জন করেন।
তিনি স্কুল ক্যাম্পাসের দশ লক্ষ টাকার গাছ অবৈধভাবে বিক্রি করে আত্মসাৎ করেন। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ তিনি জালিয়াতি করে দাতা কোটায় লোকমান হোসেনকে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হিসাবে অর্ন্তভূক্ত করেন।
শূণ্য পদে সাতজন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই গোপনে স্কুলের জমি কেনাবেচা করে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্তের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে জুতা মিছিল করেন।
এদিকে প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল আজ সোমবার স্থানীয় প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মলেনে অভিযোগ করেন, স্বার্থান্বেষী মহল চাঁদা না পেয়ে বানোয়াট অভিযোগে তাকে হয়ানি করছেন। তিনি বৈধভাবে নিয়োগ পেয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। স্কুল ক্যাম্পাসের কয়েকটি গাছ কেটে স্কুলের কাজেই তা লাগিয়েছেন। জালিয়াতি করে কোনো দাতা সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়নি। শিক্ষক নিয়োগেও কোন দুর্নীতি হয়নি। সরকারি নিয়মনীতি মেনে ও অনুমতি সাপেক্ষে স্কুলের জরুরী প্রয়োজনেই জমি কেনাবেচা করেছেন। বিক্রির টাকা ব্যাংকে জমা রয়েছে।
কোনো আত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি। স্বার্থান্বেষী মহল স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে জুতা মিছিল করানোর ব্যস্থা করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।