
প্রকাশ: ৭ এপ্রিল ২০১৯, ৩:৩৮
প্রশাসনের কড়া নজরদারির মাঝেও থামানো যাচ্ছে না সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচার চেষ্টা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে মালয়েশিয়া পাচারে নিত্যনতুন পয়েন্ট আবিষ্কার করছে দালাল-রোহিঙ্গারা। গত এক সপ্তাহে পাচারের চেষ্টাকালে প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সর্বশেষ ৫ এপ্রিল টেকনাফের বাহারছড়ার সমুদ্র তীরবর্তী শামলাপুর এলাকা থেকে ১১৫ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৫০ পুরুষ, ৩৯ নারী ও ২৬ জন শিশু রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, পাচারকারী চক্রের মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় মানবপাচার চেষ্টা বন্ধ হচ্ছে না। ফলে সক্রিয় দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের ৩১টি ক্যাম্পভিত্তিক অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

তবে অবৈধভাবে বিপজ্জনক সাগর পথে পাচাররোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর বলে দাবি করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য মতে, গত এক সপ্তাহে জেলার টেকনাফ ও মহেশখালীতে অভিযান চালিয়ে ১৭১ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। যার বেশির ভাগই নারী ও শিশু। গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের দেবাঙ্গাপাড়া পাহাড়ের চিকনঝিরি নামক এলাকায় দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে পানেরবরজ থেকে শিশুসহ ১৯ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। এদের মাঝে দুই শিশু ও ১২ জন নারী রয়েছে।

৩০ মার্চ সেন্টমার্টিন এলাকা থেকে ২২ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড সদস্যরা। এ সময় তিন দালালকে আটক করা হয়। আটক দালালরা হলো- সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা মোহাম্মদ কবির, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও মোহাম্মদ হোসেন। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা নারীদের বরাত দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, অবিবাহিত নারীদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আবার যেসব নারীর স্বামী মালয়েশিয়ায় তারাও যে কোনোভাবে মালয়েশিয়া যেতে উন্মুখ। আরাকানে (রাখাইনে) যাদের অবস্থা সচল ছিল সেসব পরিবার যেকোনো মূল্যে মধ্যপ্রাচ্য কিংবা মালয়েশিয়া যেতে তৎপর। অনেক তরুণী ও কম বয়সী বিধবা নারীই মালয়েশিয়া যেতে প্রতিনিয়িতই চেষ্টা অব্যাহত রাখছে। যেকোনো দিন সুযোগ কাজে লাগলেই তারা সফল হবে বলে আশাবাদী।


ইনিউজ ৭১/এম.আর