এ সময় উচ্চস্বরে তিনি বলছেন, যাও এখান থেকে, যাও। সঙ্গে সঙ্গেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠি নিয়ে নৌকার সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের ধাওয়া করে। এরপর কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি ইশারায় মারের ভঙ্গি দেখিয়ে তিনি আরও বলছেন, ‘আরেকবার যদি এদিকে আসছ -ঠ্যাং ভাইঙা দিমু কিন্তু।’ এরপরই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুজ্জামান কেন্দ্রের বাইরে ভোটার স্লিপ দেওয়ার টেবিলের দিকে স্লীপ কোন প্রার্থী, কোন প্রার্থী বলে এগিয়ে যান। তিনি বলেন- ‘এখানে নৌকার কেউ থাকতে পারবে না।’
এরপর তিনি টেবিলের সামনে গিয়ে বলতে শুরু করেন, ‘আনারস হলে ঠিক আছে।’ এ সময় ভয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা তাদের সাথে থাকা নৌকার ব্যাজ-লিফলেট লুকিয়ে ফেলে। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুজন দত্ত। তার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমন করার কারণ জানতে চাইলে কামরুজ্জামান আমাকে বলেন এটা নাকি উপরের নির্দেশ। আমি বেশি কথা বললে আমাকে সে ৩ মাসের সাজা দিয়ে দেবে।’ এ সময় সুজন আরও জানান, ভোটের দিন শুধু কেন্দ্র বা এর আশপাশেই দায়িত্ব পালন করে ক্ষান্ত হননি কামরুজ্জামান। শহরের সর্বত্র যেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পেয়েছেন তাদের ওপর চড়াও হয়েছেন। তার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মারধর করেছে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান, দুপুর ১২টা নাগাদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল নিয়ে তার বাড়িতে চড়াও হন সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান। এ সময় তিনি তার বৃদ্ধা মাকে ডেকে বলতে থাকেন, ‘এই নেতার মা,তর পুত কই,বাইর কর।’ এ সময় তাকে না পেয়ে তার বাসার গেটে লাথি মারারও অভিযোগ তোলেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।