সেলফি না তুলে এক বালতি পানি আনলেও তো উপকার হয়: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ৫ই এপ্রিল ২০১৯ ০৮:৫৭ অপরাহ্ন
সেলফি না তুলে এক বালতি পানি আনলেও তো উপকার হয়: প্রধানমন্ত্রী

সম্প্রতি বনানীর আগুনের কথা উল্লেখ করে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চৈত্র-বৈশাখে আমাদের দেশে আগুন লাগার একটা প্রবণতা বেশি থাকে এটা ছোটবেলা থেকেই আমরা দেখে আসছি। কোথাও আগুন লাগলে কিছু লোক খামাখা সেখানে ভিড় জমায়। এতে ফায়ার সার্ভিসের কাজে বিঘ্ন ঘটে। শুক্রবার বিকেল ৫টায় সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কার্যনির্বাহী কমিটির অধিকাংশ সদস্য উপস্থিত আছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা স্থাপনা নির্মাণ করেন সেখানে পানির সুবিধা আছে কি-না। আগুন নেভানোর জন্য যথেষ্ট অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র আছে কি-না ইত্যাদি তাদের দেখা উচিত। যারা স্থাপনা নির্মাণ করেন সে স্থাপনা রক্ষা করার দায়িত্বও তাদের। বেশি লাভ করতে গিয়ে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনবেন না। তা ছাড়া যারা ওই স্থাপনায় ভাড়া থাকে তাদেরও সর্বনাশ করবেন না।

তিনি বলেন, আগুন লাগলে মানুষ যেখানে পুড়ে মারা যাচ্ছে আর কিছু লোক আছে যারা সেলফি তুলছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, এটা কি সেলফি তোলার সময়? এ ধরনের মানসিকতা পরিহার করা উচিত। যতক্ষণে সেলফি তুলবে ততক্ষণ এক বালতি পানি আনলেও তো উপকার হয়। কিন্তু তা না করে বরং ফায়ার সার্ভিসের লোকদের কাজে বিঘ্ন ঘটায়। বনানীর এ ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উদ্যোগের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে তারা যে সহযোগিতা করেছে সেটাই করা উচিত। মিডিয়ারও সহযোগিতা করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, গুলশান লেক আজ অর্ধেক হয়ে গেছে। বনানী লেক বিএনপির সময়ে দখল করে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এভাবে ঢাকার জলাধারগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব