
প্রকাশ: ৫ এপ্রিল ২০১৯, ০:২০

আকাশ থেকে শস্যখেতে কীটনাশক ছিটানোর কাজে ব্যবহারের জন্য ১৯৬৩ সালে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নে ‘প্লান্ট প্রোটেকশন’ বন্দর হিসেবে দুই হাজার ফুট রানওয়ে নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৮৫ সালে এটিকে বিমানবন্দরে রূপান্তর করা হয়। এরপর ১৯৯৫ সালের ১৭ জুলাই থেকে দিনের বেলা ঢাকা-বরিশাল রুটে বাণিজ্যিক বিমানের চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে ১৬০ দশমিক ৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বরিশাল বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ছয় হাজার ফুট এবং প্রস্থ ১০০ ফুট। বিমান চলাচলের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রানওয়ের পাশে ৫০০ ফুট ফাঁকা জায়গা (স্পেস) থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বরিশাল বিমানবন্দরে আছে মাত্র ৩০০ ফুট জায়গা। বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারে নেই আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। অগ্নিনির্বাপণসহ উদ্ধার কার্যক্রমও মানসম্পন্ন নয়। বিমানবন্দরের সীমানাপ্রাচীরও অরক্ষিত। আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রাতে কোনো উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারে না। ১৯৯৫ সালে ফ্লাইট চলাচল শুরু হলেও এখনো আক্ষরিক অর্থে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও যে সব সুযোগ-সুবিধা থাকা প্রয়োজন তার ন্যূনতম এখানে গড়ে ওঠেনি। চালু হওয়ার ২৩ বছর পরেও নিরাপত্তার পাশাপাশি উন্নয়নের বিষয়টিও উপেক্ষিত। এখানে রানওয়ে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা নেই। ফলে সন্ধ্যার আগেই বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বিকেলের দিকে কোনো ফ্লাইট বিলম্বিত হলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। অনেক সময়ই পাইলটরা চরম ঝুঁকি নিয়ে রানওয়ে থেকে ফ্লাইট টেক অফ করাতে বাধ্য হন। আবার রানওয়ের সর্বত্র সিসি ক্যামেরা এবং পর্যাপ্ত মনিটর নেই।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব