ফুটবলে মেয়েরা আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে আনছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৪ঠা এপ্রিল ২০১৯ ০৮:২৫ অপরাহ্ন
ফুটবলে মেয়েরা আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে আনছে: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল খেলায় বাংলাদেশের মেয়েরা আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে আনছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের খেলোয়াড়রাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করছে। ফুটবলে মেয়েরা আজ আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে আনছে।’বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।শেখ হাসিনা বলেন, ফুটবল বাংলাদেশের মানুষের অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। আমি ফুটবল পরিবার থেকেই উঠে এসেছি। আমার দাদা, বাবা ফুটবল খেলতেন এবং খেলা দেখতে পছন্দ করতেন। আমার ভাই শেখ কামাল এবং শেখ জামালও ফুটবল খেলতেন। আমার নাতি-পুতি, জয়ের মেয়ে, রেহানার ছেলে-মেয়ে সবাই ফুটবল খেলে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের যে আয়োজন করেছি সেখানকার খেলোয়াড়রাই জাতীয় দলে স্থান পাচ্ছে। তারাই আজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনছে। এ ধরনের উদ্যোগ না নিলে হয়তো এটা সম্ভব হতো না।

প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতা দুটি বিশ্বে ইতিহাস তৈরি করেছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আমার মনে হয় পৃথিবীর আর কোনও দেশে এই ইতিহাস নেই। এবারের এই টুর্নামেন্টে, অর্থাৎ ২০১৮ সালের টুর্নামেন্টে বেগম ফজিলাতুন্নেসা গোল্ডকাপে অংশগ্রহণ করেছে ৬৫ হাজার ৭০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১১ লাখ ১৬ হাজার ৯০০। আর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে ৬৫ হাজার ৭৯০টি বিদ্যালয়। খেলোয়াড় সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫১৫। এত বিশাল সংখ্যার খেলোয়াড় আমার মনে হয় পৃথিবীর আর কোনও দেশ আয়োজন করতে পারে নাই।’প্রতিযোগিতার সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে আমরা এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করি। যার ফলে আজ খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা পারদর্শিতা দেখাচ্ছে। আমাদের নারী অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৮ এবং জাতীয় দলের ৫০ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ৩৬ জন খেলোয়াড়ই বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এসেছে। ধীরে ধীরে তারা জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়াড় হিসেবে অবস্থান করে নিচ্ছে।’

লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমেই দেশের আগামী নেতৃত্ব গড়ে উঠবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।এর আগে বিকাল চারটার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন। এ সময় স্টেডিয়ামে উপস্থিত সবাই করতালির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এরপর মাঠে বসেই বেশকিছু সময় খেলা উপভোগ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। পরে তিনি পুরস্কার বিতরণ করেন।এবারের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে নীলফামারী সদরের দক্ষিণ কানিয়ালখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেটের জৈন্তাপুরের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনালে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের টেপুরগাড়ী বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ময়মনসিংহের নান্দাইলের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।