একমাস আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আশুলিয়ার শিমু আক্তারের (১৬) সাথে পরিচয় হয় রাজশাহীর মিজানুর রহমান ওরফে জিয়ারুল ইসলামের (৩৭)। ফোনের আলাপচারীতার এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সূত্র ধরে শিমুকে দেওয়া হয় বিয়ের প্রস্তাব। গত বুধবার জিয়ারুল ফুসলিয়ে শিমুকে বিয়ের কথা বলে আশুলিয়া থেকে নিয়ে আসে।বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির পর একপর্যায়ে রাতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায় অবস্থিত যৌনপল্লীতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে শিমুকে বিক্রির জন্য কয়েকজন দালালের সাথে কথা বলে জিয়ারুল। দরদাম ঠিক করার মুহূর্তে পুলিশের কাছে এ তথ্যটি চলে যায়। গোপনে পাওয়া সংবাদের ভিক্তিতে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের এসআই ইকবাল আহমেদ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দালালরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় আটক করা হয় জিয়ারুলকে। উদ্ধার করা হয় কিশোরী শিমুকে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক জিয়ারুল জানান, প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরী শিমুকে যৌনপল্লীতে বিক্রি করার জন্য এখানে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মানব পাচার আইনে জিয়ারুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।আটক জিয়ারুলের বাড়ি রাজশাহী জেলার বাঘা ইউনিয়নের লক্ষীনগর গ্রামে। তার পিতার নাম তফিলউদ্দিন গাড়োয়ান। শিমুর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায় হলেও সে পরিবারের সাথে ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকতো।গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র নানাভাবে ফুঁসলিয়ে কিশোরীদের যৌনপল্লীতে এনে বিক্রি করে থাকে। পুলিশের কঠোর নজরদারী থাকার কারণে সেটি এখন কমে এসেছে। আটক জিয়ারুল পুলিশের কাছে সব কথা স্বীকার করেছে।