
প্রকাশ: ৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:৫৫

চকবাজার থেকে বনানী। বনানী থেকে গুলশান। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সব সেবা সংস্থাই। এতে চকবাজারের চুড়িহাট্টার পর অভিজাত এলাকা বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। আত্মরক্ষার্থে বহুতল ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে মানুষের করুণ মৃত্যু শিহরিত করেছে সবাইকে। বনানীর পর গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটের আগুনে কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে যায়। অল্পদিনের ব্যবধানে এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কিত রাজধানীবাসী। রাজধানীতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা বহুতল ভবনের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। একইসঙ্গে যেসব বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপণ সুবিধা বা সরঞ্জাম নেই সেগুলোর বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে। গত সোমবার এ অভিযান শুরু হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভবন মালিকরা। কারণ রাজধানীর অধিকাংশ ভবন বিল্ডিং কোড, নিয়ম, নকশা না মেনে নির্মাণ করা হয়েছে।
জোনগুলো হচ্ছে- জোন-১ (আশুলিয়া, ধামসোনা), জোন-২ (উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুর), জোন-৩ (সাভার, মিরপুর), জোন-৪ (গুলশান, বনানী, মহাখালী, পূর্বাচল), জোন-৫ (ধানমন্ডি, লালবাগ), জোন-৬ (মতিঝিল, ভুলতা), জোন-৭ (কেরানীগঞ্জ, জুরাইন, সূত্রাপুর, ওয়ারী) এবং জোন-৮ (ডেমরা, নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁও )। রাজউকের এ অভিযান আগামী ১৫ দিন চলবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। রাজউকের এ অভিযানে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভবন মালিকেরা। তারা মনে করছেন, যেহেতু সব ধরনের নিয়ম মেনে ভবন তৈরি করেননি সেহেতু রাজউকের অভিযানে তারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এমনকি তাদের ভবনের অংশবিশেষও অপসারণ করা লাগতে পারে। পাশাপাশি ভবনে নানা সুবিধা বাস্তবায়ন করতে আর্থিক ব্যয় বাড়ারও আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, ‘ওপেন স্পেসে গাড়ি পার্কিং করা হলেও ভিতরে একটি পার্কিংয়ের জায়গা করা আছে, কিন্তু সেটা তুলনামূলক ছোট পরিসরে। এরমধ্যে সেখানে আবার আনসার সদস্যদের থাকার জায়গা করা হয়েছে ফলে পার্কিং স্পেস কমে গেছে।’রাজউকে বিভিন্ন প্রয়োজনে যারা গাড়ি নিয়ে আসেন তাদের যত্রতত্র পার্কিং করতে হয়। রাজউকের ইমারত নির্মাণ আইন ও বিধিমালা অনুসারে ছয়তলার উপরে নির্মিত সব ভবনে নকশা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বিল্ডিং কোড অমান্য করে প্রকাশ্যে চোখের সামনেই একের পর এক ভবন গড়ে উঠছে মতিঝিল এলাকাসহ পুরো রাজধানীতে। ফলে মতিঝিল এলাকায় প্রায় সব গাড়িই সড়কে পার্কিং করা হয়। সৃষ্টি হয় যানজটের। রাজউক যে অভিযান শুরু করেছে তা যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয় তাহলে যানজটও কমবে; সেই সঙ্গে কমবে অগ্নিদুর্ঘটনাও।