ইয়াবা কারবারিরা এবার দলে দলে রোহিঙ্গাদের ভাড়া করেই নেমেছে পাচারে। প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গার দল পাচার করে আনছে ইয়াবার চালান। ইয়াবা পাচারকালে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ জন রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’র শিকারে পড়ে নিহত হয়েছে। তবুও থামছে না ইয়াবা পাচার। আজ শুক্রবার একদিনেই টেকনাফ সীমান্তে ১৩ জন রোহিঙ্গার পেট থেকে বের করা হয়েছে ৩০ হাজার ইয়াবা। এসব ইয়াবা বহনকারী রোহিঙ্গারা এক ট্রিপে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে নাফনদের ওপার থেকে এপাড়ে পেটে করে পাচার করছিল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মীরা শুক্রবার সকালে নাফনদ তীর থেকে ইয়াবা বহনকারী এসব রোহিঙ্গার দলকে আটক করে। টেকনাফ সীমান্তের হ্নীলা চৌধুরী পাড়ার নাফনদ তীরের একটি ঘরে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মীরা আটক করে ২৬ জনকে। তারা শুক্রবার ভোর রাতে মিয়ানমার থেকে নৌকাযোগে এপাড়ে এসে ঘরটিতে আশ্রয় নেয়।
কক্সবাজারের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল জানান, আটক হওয়াদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি। অপর ২৩ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ২ নারী ও ৩ শিশুকে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যান্যদের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ ও এক্সরের মাধ্যমে ১৩ জনকে পেটে ইয়াবা বহনকারী হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে। সহকারী পরিচালক আরো জানান, শনাক্ত হওয়া ১৩ রোহিঙ্গা শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত পেট থেকে ৩০ হাজার ইয়াবা বের করেছে। এসব রোহিঙ্গারা অকপটে স্বীকার করেছে যে, তারা জনপ্রতি এক ট্রিপে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ইয়াবার চালান পাচার করছিল।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।