জন্মদাত্রী মা মারা যান ছয় মাস আগে। ছোট্ট শিশু দু’টিকে ‘লালন-পালন করার জন্য’ আরেকটি বিয়ে করেন বাবা। সেই মায়েরও ‘মৃত্যু’ হয়েছে রোববার (১৭ মার্চ)। আর এই সৎ মায়ের মৃত্যুর পর রহস্যজনক কারণে পালিয়ে গেছেন বাবা। এই অবস্থায় মোহনা আক্তার (৭) ও মাইশা আক্তার (৪) নামে শিশু দু’টির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন তাদের স্বজনরা।রাজধানীর খিলগাঁওয়ের একটি বাসার বাসিন্দা মোহনা-মাইশার সৎ মা ময়না আক্তারের (২২) অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকে পলাতক রয়েছেন তাদের বাবা মনির হোসেন। পুলিশের ধারণা, স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ময়না।
মনিরের ভাবি লিপি বেগম বাংলানিউজকে জানান, প্রথম স্ত্রী আমেনা মারা যাওয়ার পর ময়নাকে বিয়ে করেন মনির। তারা খিলগাঁওয়ের নন্দিপাড়ার রসুলবাগে থাকতেন। সন্ধ্যায় মনির একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ময়নাকে ‘অচেতন অবস্থায়’ লিপিদের বাসা খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগে নিয়ে আসেন। তখন মনির জানান, ‘ময়না অসুস্থ’। এরপর অ্যাম্বুলেন্স আনার কথা বলে চলে যান। মনিরকে আসতে না দেখে পরে লিপিই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন ময়নাকে। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়নাকে মৃত ঘোষণা করেন।লিপি বেগম বলেন, ময়না শিশু দু’টিকে খুব আদর-যত্ন করতো। জন্মদাত্রী মায়ের পর পালক মায়েরও এমন মৃত্যুর পর বাবা পালিয়ে যাওয়ায় শিশু দু’টির ভবিষ্যৎ নিয়েই দুশ্চিন্তা সবার।এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য ময়নার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের জেরে বাসার ভেতরে ময়না গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তারপরও বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।