যাত্রী মতামত জরিপ না করেই সোমবার (১১ মার্চ) থেকে আন্তঃনগর ১৫টি ট্রেনের টিকিট কিনতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাধ্যতামূলক করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ১৮ বছরের নিচের যাত্রীদের জন্য জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে টিকিট জালিয়াতি প্রতিরোধ সম্ভব বলা হলেও যাত্রীরা বলছেন, বিড়ম্বনা বাড়বে। অনেকেই এটাকে সাধুবাদ জানালেও খোদ রেল কর্মকর্তারাই বলছেন, লোকবলের অভাবে বাধাগ্রস্ত হবে এর লক্ষ্য। টিকিটের দীর্ঘ লাইন, চাহিদার তুলনায় অপ্রতুলতা, কাউন্টারের স্বল্পতা আর জালিয়াতি; এমন সব অভিযোগে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি রেল যাত্রীদের। টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ ও প্রাপ্যতা নিশ্চিতে ১৫টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কিনতে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করছে রেলওয়ে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে।
টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বলছেন, এই পদ্ধতিতে টিকিট দিতে গিয়ে সময় বেশি লাগছে। আর যাত্রীরা বলছেন, টিকিট চেকিং সিস্টেমটা বাড়ালে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কেনা যাবে ৪টি টিকিটি। প্রতিটি টিকিটেই লেখা থাকবে একজনের নাম। সে ক্ষেত্রে ঝামেলা বাড়ার পাশাপাশি, এক পরিচয়পত্রে কয়বার টিকিট নেয়া যাবে, স্ট্যান্ডিং টিকিট, ভ্রমণকারী ব্যক্তি আসল কি না, এমন সব প্রশ্ন যাত্রীদের মনে। টিকিট নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা বলছেন, এই পদ্ধতিতে যদি একজন ব্যক্তি তার আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়ে বারবার ৪টি করে টিকিট করে বিক্রি করে তাহলে তার কী সমাধান হবে। এমন কি আছে যে সিস্টেমে ইনপুট থাকবে যে একটি এনআইডির বিপরীতে চারটির বেশি টিকিট কাটা যাবে না?
এক যাত্রী বলেন, আপনি যখন এনআইডি কার্ডটি দেখাবেন ওনারা ভিতর থেকে বলবে টিকিট শেষ হয়ে গেছে। আর ভোক্তা অধিকার বলছেন, টিকিট কালোবাজারি রোধে জাতীয় পরিচয়পত্র কোনো সমাধান হতে পারে না। উন্নত সার্ভার আর লোকবল সংকটের কারণে এর উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন রেলের কয়েকজন কর্মকর্তা। টিকিট জালিয়াতি বা প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হলে, অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার পরিবর্তন জরুরি বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।