এখন থেকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া কেউ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। ভুল করে বা ঘোষণা ছাড়া অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করা হবে। শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি উড়োজাহাজ ছিনতাইচেষ্টা এবং নিরাপত্তা চেকিংয়ে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও সিলেটগামী এক যাত্রীর পিস্তল ধরা না পড়া নিয়ে সমালোচনার মধ্যে এ ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। জরুরি সভায় বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ ও আশপাশের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. নাইম হাসান বলেন, যারা নিজের আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে ভুলে যায়, তারা অস্ত্র ব্যবহারের যোগ্যতা রাখে না। এখন থেকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও মানবাধিকার সংস্থার পরিচয়দানকারী মামুন আলী। মানবিক কারণে তাদের ওই অস্ত্র জব্দ করা হয়নি। তারা নিজের ভুল স্বীকার করে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছে মুচলেকা দিয়ে অস্ত্র নিয়ে গন্তব্যে ফেরেন। এ ঘটনায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে তারাই আবার প্রশ্ন তোলেন। তাই এখন থেকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া অস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস ১৩১ ফ্লাইটে সিলেটে যাওয়ার জন্য অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে আসেন মোহাম্মদ মামুন আলী। তার সঙ্গে পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি থাকলেও বিমানবন্দরের আর্চওয়েতে তার শরীর তল্লাশির সময় তা শনাক্ত করতে পারেননি নিরাপত্তা কর্মীরা। মামুন আলী নিজেই নিরাপত্তা কর্মীকে প্রশ্ন করেন- 'কী চেক করলেন, আমার কাছে তো পিস্তল আছে।' এর আগে গত ৫ মার্চ ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা তল্লাশি পার হওয়ার সময় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র স্ক্যানারে ধরা পড়েনি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমান উড্ডয়ন অবস্থায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। বলা হচ্ছে, ছিনতাইচেষ্টায় জড়িত যুবক হাতে খেলনা পিস্তল ও বোমাসদৃশ বিস্ম্ফোরক নিয়ে উড়োজাহাজে উঠেছিল। এসব ঘটনা গণমাধ্যমে আসার পর দেশের প্রধান বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।