দীর্ঘ কয়েক দশক পর পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনে নজির স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। এই ঘটনা ভারতের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তবে শুধু চিনি নয়, এখন বাংলাদেশ আলু ও পেঁয়াজের জন্যও ভারতকে বাদ দিয়ে বিকল্প দেশ থেকে আমদানি করার চিন্তা করছে। পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ থেকে এই পণ্যগুলো আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'ইন্ডিয়া ডটকম' এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের চিনি আমদানির পর সরকার এখন আলু এবং পেঁয়াজের বিকল্প উৎস খুঁজতে শুরু করেছে। এর ফলে পাকিস্তানসহ কিছু দেশ থেকে এই পণ্যগুলোর আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের উদ্দেশ্য, ভারত থেকে নির্ভরতা কমিয়ে তার বাজারে পণ্যের সরবরাহ আরও মজবুত করা।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে আলু এবং পেঁয়াজের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু কিছু কারণে বিশেষত ভারতীয় বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য এবং দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনে বাংলাদেশ বিকল্প উৎসের সন্ধানে বেরিয়েছে। পেঁয়াজ ও আলুর জন্য বাংলাদেশ ভারত এবং মিয়ানমার থেকে প্রধানত আমদানি করে থাকে, তবে পাকিস্তান, চীন এবং তুরস্ক থেকেও কিছু পরিমাণে পণ্য আসে।
বাংলাদেশের বাজারে ভারত বর্তমানে আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানির বৃহত্তম দেশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৭.২৪ লাখ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করেছে ভারত, যার মূল্য প্রায় ১৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্কের মধ্যে কিছু অশান্তি দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিকল্প সরবরাহ উৎস খুঁজে বের করার কাজ চলছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) ইতোমধ্যে বিকল্প উৎস চিহ্নিত করেছে এবং এটি দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে। এখন আমদানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ভারতীয় বাণিজ্য বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, যদি বাংলাদেশ ভারতের ওপর তার নির্ভরতা কমিয়ে দেয়, তাহলে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের নতুন এক চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।