রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ভবনগুলোতে লাগা ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া মরদেহের মধ্যে ৪৮ পুরুষ ৫ জন নারী ও ২ জন শিশু রয়েছে।চুড়িহাট্টায় ফায়ার সার্ভিসের অস্থায়ী তথ্য কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখান থেকে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত তাদের উদ্ধার অভিযানে ৬৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও সার্চিং অভিযান চলছে। প্রতিটি বিল্ডিংয়ের প্রতিটি কক্ষ তল্লাশি শেষে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে পুরো তথ্য দেয়া সম্ভব হবে।
বুধবার রাত তখন দশটা, অন্যান্য দিনের মতই রাজধানীর চকবাজারের চুরিহাট্টা মসজিদের গলিতে লেগে আছে যানজট। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, হঠাৎ করেই বিকট শব্দে কেঁপে উঠে আশপাশের এলাকা। মসজিদের পাশের ওয়াহেদ ভবন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাসা বাড়িসহ নন্দকুমার দত্ত সড়কে থাকা কয়েকটি খাবার হোটেলে।একই সাথে যানজটে আটকে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। চারতলা আবাসিক ওই ভবনটির নিচতলায় কেমিক্যাল গুদাম থাকায় আগুনের ভয়াবহতা দ্রুত বাড়তে থাকে। একের পর এক বিকট শব্দে কেঁপে উঠে পুরো এলাকা।
আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৩৭টি ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার পাশাপাশি, শুরু করে আটকা পড়াদের উদ্ধার কাজ। সরিয়ে নেয়া হয় আশপাশের ভবনের বাসিন্দাদের। কিন্তু এলাকার সড়ক সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয় উদ্ধার তৎপরতায়।এর আগে ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলিতে প্লাষ্টিক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন মারা যায়। এরপর থেকেই ওই এলাকা থেকে কেমিক্যল গুদাম উচ্ছেদের জোর দাবি উঠলেও আজও তা কার্যকর হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।