বরিশালে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ, গ্রেফতার-৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
এম. কে. রানা - বার্তা প্রধান ইনিউজ৭১
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:১৯ অপরাহ্ন
বরিশালে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ, গ্রেফতার-৩

বরিশালে শিশু গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এয়ারপোর্ট থানার চৌকশ কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান মুকুলের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে ধর্ষক ও ধর্ষণে সহযোগিতাকারীরা। গতকাল রাত ১টায় এয়ারপোর্ট থানাধীন রহমতপুর এলাকা থেকে ধর্ষণকারী মাসুম, গৃহকর্তা মজিবর ও তার স্ত্রী শাহেলা রহমান লিপিকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানার সেকেন্ড অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে (মামলা নং ১৩)।

ধর্ষণের শিকার শিশু মাহিমা (ছদ্মনাম) ও থানা সূত্রে জানা যায়, তিন বছর পূর্বে মাহিমা (১৪)’র পিতা মজলু মারা গেলে তার মা তাকে ফেলে অন্যত্র চলে যায়। এরপর পার্শ্ববর্তী মনোয়ারা নামে এক মহিলা তাকে এক বছর পূর্বে রহমতপুরের একটি কনফেকশনারীর মালিক মজিবর রহমানের বাসায় এনে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজে দেন। মাহিমার প্রতি কু-নজর পরে মজিবরের কর্মচারী মাসুমের। গত কিছুদিন যাবত মাসুম মাহিমাকে বিভিন্নভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কয়েকদিন পূর্বে দুপুরে বাসা খালি থাকার সুযোগে মাহিমাকে ধর্ষণ করে মাসুম। তবে গৃহকর্তী শাহেলা রহমান লিপি তার বাচ্চাকে স্কুল থেকে নিয়ে বাসায় ফিরলে তাকে ঘটনা জানায় মাহিমা। তবে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শাহেলা মাহিমাকে মারধর করে। এমনকি কাপড় ইস্ত্রি করা আয়রন দিয়ে শিশু মাহিমাকে ছ্যাকাও দেয় সে বলে জানায় শিশু মাহিমা। আর এতে নতুন করে উৎসাহিত হয় ধর্ষক মাসুম। পুনরায় তাকে ধর্ষণ করে মাসুম। 

বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। গতকাল রাত ১টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান মুকুল, সেকেন্ড অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাসসহ পুলিশের একটি টীম রহমতপুরে গৃহকর্তা মজিবরের বাসায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু মাহিমাকে উদ্ধার করেন। এ সময় গৃহকর্তা মজিবর, তার স্ত্রী লিপি ও ধর্ষন মাসুমকে আটক করেন তারা। থানার সেকেন্ড অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাস বাদী হয়ে এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১৩)। এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু মাহিমাকে উদ্ধার করি এবং ধর্ষক মাসুম, গৃহকর্তা মজিবর ও তার স্ত্রী লিপিকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর