'দখল আর দূষনে অস্তিত্ব সংকটে আন্ধারমানিক নদী'

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাকিবুল ইসলাম তনু, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: সোমবার ৭ই জানুয়ারী ২০১৯ ০৪:৪২ অপরাহ্ন
'দখল আর দূষনে অস্তিত্ব সংকটে আন্ধারমানিক নদী'

একের পর স্থাপনা তুলে দখল করা হচ্ছে আন্দারমানিক নদী। প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ফ্রি-স্টাইলে তোলা হচ্ছে এসব স্থাপনা। এ নদীর দূষনও চলছে ফ্রি স্টাইলে। নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অন্তত: ১০টি ইটভাঁটা। এছাড়া কলাপাড়ার মাছ বাজার ও কাঁচা বাজারের সকল ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে এ নদীকে। ফলে দখল আর দূষনের কবলে পড়ে নব্যতা হারিয়ে অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে আন্দারমানিক নদী। সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কলাপাড়া পৌর শহর আর নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে আন্দারমানকি নদী। বলতে গেলে উপজেলার প্রান এ নদীটি। কিন্তু ল ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পশ্চিক পাশে স্থাপনা তুলে নদী দখলের পর এখন বর্ধিত করনের মাধ্যমে নদী দখল করছে মনিরুজ্জামান পোল্ট্রি ফিডের মালিক মনিরুজ্জামন। একইভাবে পূর্বদিকে নদীর মধ্যে টিনের ছাপড়া দিয়ে নদী দখল করে পাকা স্থাপনা তুলছে জাকির হোসেন (জাকারিয়া) নামে এক মুদি দোকানদার। এভাবেই বহুতল পাকা-আধাপাকা ভবনসহ টিনশেড স্থাপনা তোলা হয়েছে আন্ধারমানিকের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় জুড়ে। সবচেয়ে বেশি স্থাপনা তোলা হয়েছে আন্ধারমানিকের উত্তর পাড়ে।

পৌরশহর এলাকার নাচনাপাড়া ফেরিঘাট থেকে ফিশারি পর্যন্ত আন্ধারমানিক নদী তীরসহ নদী দখল করে তোলা হয়েছে এসব স্থাপনা। দুই পাড়ে পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। এসব চর ভরাটের আগেই গোপনে অনেকেই চাষযোগ্য খাস কৃষিজমি দেখিয়ে বন্দোবস্ত নিয়ে রেখেছে। এছাড়া কলাপাড়া পৌরসভা শহরের ময়লা-আবর্জনা এবং  মাছ বজার ও কাঁচা বাজারের সকল আবর্জনা ফেলছে আন্ধারমানিকের ল ঘাট এলাকায়। নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা অন্তত ১০ টি ইটভাটার ময়লাও নদীতে ফেলা হচ্ছে ফ্রি-স্টাইলে। ফলে দখল আর দুষনের কবলে পড়ে এক সময়ের খর¯্রােতা আন্ধারমানিক এখন হারিয়ে ফেলছে স্বকীয়তা। পড়েছে অস্তিত্ব সঙ্কটে। বিপর্যয় নেমে আসছে আশেপাশের এলাকায়। কলাপাড়া পৌর শহরের বাসিন্দা রহমান মিয়া বলেন, আন্ধারমানিক নদীর পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় ইতোমধ্যে অন্তত: সাতটি স্লুইস সংযুক্ত খাল ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক আবদুর রহিম বলেন, নদীর পানি কমে যাওয়ায় গ্রামগঞ্জের খালে এখন আর পানি ঢুকছেনা। খালে পানি না থাকার কারনে কৃষিকাজ করতে আমাদের কৃষকদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাশ জানান, নদী-খাল কিংবা সরকারের খাস জমি উদ্ধারে দখলদার উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। আন্ধারমানিক নদী রক্ষায় এসব দখলদারদেরও উচ্ছেদ করা হবে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব