একনেক সভায় ১৩ প্রকল্পের অনুমোদন

বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় মোট ১৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়, যেখানে উল্লেখ করা হয় মোট ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৩৩৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুমোদিত অর্থের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন চার হাজার ৪৩৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ এক হাজার ২২৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন দুই হাজার ৬৭০ কোটি নয় লাখ টাকা। এটি চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের তৃতীয় এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪তম একনেক সভা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আজকের সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে রয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারীর ক্ষমতায়নমূলক ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধন। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগার আধুনিকায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০০ হর্সপাওয়ার রিগ ক্রয়, শাহবাজপুর ও ভোলা এলাকায় কূপ খনন এবং নেসকো এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন প্রকল্পও আজকের অনুমোদনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এই প্রকল্পগুলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস’ প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপকূলীয় এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে। এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ মোকাবিলা সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

এ ছাড়া বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শেখ হাসিনা স্পেশালাইজড জুট টেক্সটাইল মিল এবং যমুনা স্পেশালাইজড জুট অ্যান্ড টেক্সটাইল মিল প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পাটশিল্পের আধুনিকায়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত তিনটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেজ-২), নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প এবং মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী ও স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নগর ও স্থানীয় উন্নয়ন কাঠামো আরও সুদৃঢ় হবে।

অন্যদিকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প এবং গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে। ফলে বিমানবন্দর অবকাঠামো ও সরকারি আবাসন খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।