প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৩১
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইনে সংশোধনী এনেছে সরকার। এই সংশোধনীর ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে বা সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পরে বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট ১৯৭৩-এ নতুন সেকশন ২০ (সি) যুক্ত করা হয়েছে।
নতুন ধারার মাধ্যমে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি সেকশন ৯ (১) এর অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল হয়, তবে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন।
একইভাবে স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবেও নির্বাচিত হওয়া কিংবা বহাল থাকার যোগ্যতা হারাবেন অভিযুক্তরা।
শুধু তাই নয়, প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া কিংবা অন্য কোনো পাবলিক অফিসে অধিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রেও অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন তারা।
প্রেস সচিব জানান, এই সংশোধনী আনার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
আইনের এই পরিবর্তনকে মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রতিরোধ এবং বিচার প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করার একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।