প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৩০
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রথম সেনাপ্রধান জেনারেল এমএজি ওসমানীর জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সোমবার দুপুরে সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ইতিহাসের অবহেলিত প্রশ্নগুলো সামনে আনার আহ্বান জানান।
ফারুকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যাঁরা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁদেরকে ইতিহাসের পাতা থেকে দূরে রাখা হয়েছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলার সময় তাঁদের অবদান যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়নি।
তিনি উল্লেখ করেন, যুদ্ধ চলাকালীন জেনারেল ওসমানীর বক্তব্য, ভিন্নমত বা মতপার্থক্য নিয়ে কখনো সমালোচনামূলক আলোচনা হয়নি। এমনকি কেন ১৬ ডিসেম্বর তিনি উপস্থিত ছিলেন না বা কেন মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ না করিয়ে ভারতীয় বাহিনীর কাছে করানো হলো—এ প্রশ্নগুলোও আলোচিত হয়নি।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মনে করেন, এখন সময় এসেছে এসব প্রশ্ন তোলার এবং নির্মোহভাবে সত্য তুলে ধরার। পাকিস্তানিদের অত্যাচারের পাশাপাশি ১৯৪৭ পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানুষ যেসব অন্যায়-অত্যাচারের শিকার হয়েছে তাও ইতিহাসে সঠিকভাবে স্থান পেতে হবে।
ফারুকী আরও বলেন, যারা আগামীতে সরকার গঠন করবে তাদের প্রতি আস্থা রেখে বলা যায়, এই কাজটি তারা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কারণ ইতিহাস বিকৃত করে কোনো জাতিকে শোষণ করা সহজ হয়।
তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন, জেনারেল ওসমানীর মুক্তিযুদ্ধকালীন কিছু ফুটেজ তাঁর মনে গেঁথে আছে। তবে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর কবরের সামনে ওসমানীর স্যালুট ছিল ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার বিরল মুহূর্ত।
এই বিরল মুহূর্তকে স্মরণ করে ফারুকী জেনারেল ওসমানীর জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান এবং জাতির ইতিহাসকে আরও স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনের আহ্বান জানান।