নির্বাচন নিয়ে দ্বিধা নয়, তারিখ দেবে ইসি শিগগিরই

নির্বাচন কমিশন খুব শিগগিরই জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান। শুক্রবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ইউনূস-তারেক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো ধোঁয়াশা বা জটিলতা নেই, নির্বাচন কমিশনই তারিখ ঘোষণা করবে এবং সেটি শিগগিরই প্রত্যাশিত।

তিনি আরও বলেন, আমরা দুপক্ষই যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে এবং তারা যথাযথ সময়ে পদক্ষেপ নেবে। ইতোমধ্যে রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনাও আলোচনায় এসেছে। বিএনপির পক্ষ থেকেও প্রস্তাব এসেছে রমজানের পূর্বে নির্বাচন সম্পন্ন করার। এই বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্বসহকারে বিবেচিত হয়েছে।

বৈঠকে শেখ হাসিনার শাসনামল ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে কিনা জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, সংস্কার ও বিচার নিয়ে যৌথ বিবৃতিতে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, নির্বাচনের আগেই এই বিষয়ে অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ চাইছে একটি গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক শেষে দলের পক্ষ থেকে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে। বিএনপির ভেতরে এই বৈঠক নিয়ে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে এবং মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যেও এক ধরনের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠক একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে। দীর্ঘদিন পর রাজনৈতিক দুই পক্ষের মধ্যে এমন যোগাযোগে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরতে পারে এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ উন্মোচিত হতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই আলোচনা পর্যবেক্ষণ করছে। এখন শুধু নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার দিকেই তাকিয়ে আছে দেশবাসী।

সবশেষে, রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের যে চেষ্টা চলছে তা ফলপ্রসূ হলে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন আশার দিগন্ত তৈরি হতে পারে। শিগগিরই জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ জানিয়ে কমিশন দেশের জনগণকে সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটাবে এমনটাই প্রত্যাশা।