“নো ওয়ে!”—নির্বাচনের পর সরকারে থাকছেন না ইউনূস

একজন সাংবাদিক জানতে চান, নির্বাচনের পর গঠিত গণতান্ত্রিক সরকারে তিনি বা তার উপদেষ্টা পরিষদের কেউ কি কোনো পদে থাকবেন কিনা। জবাবে ড. ইউনূস বলেন, "নো ওয়ে, নো ওয়ে" (একদমই না)। তার মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ হলো একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

তিনি বলেন, “আমাদের দায়িত্ব হলো একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করা, যাতে জনগণ সন্তুষ্ট হয়। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি বৈধ ও গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হলে তবেই আমাদের কাজ সম্পন্ন হবে।”

ড. ইউনূস আরও বলেন, ১৭ বছর পর বাংলাদেশ সত্যিকারের একটি নির্বাচন পেতে যাচ্ছে, যা ইতিহাসে সর্বোত্তম নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের মানুষ যেমন প্রত্যাশিত পরিবর্তনের দিকে তাকিয়ে আছে, তেমনি অন্তর্বর্তী সরকারও জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই সংলাপ শেষে তিনি চ্যাথাম হাউসের রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের আলোচনাতেও অংশগ্রহণ করেন। সেখানে রাজনৈতিক অবস্থা ও নির্বাচন প্রসঙ্গে আরও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

ড. ইউনূসের এমন ঘোষণায় স্পষ্ট হলো যে, অন্তর্বর্তী সরকার নিজেকে নিরপেক্ষ রাখবে এবং কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে ব্যবহৃত হবে না। এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা প্রদর্শনের একটি বড় উদাহরণ।