প্রকাশ: ৪ জুন ২০২৫, ১৫:৫০
মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়েছে—এমন সংবাদের কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বুধবার দুপুরে প্রেস উইং-এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে এই বক্তব্য জানানো হয়।
পোস্টটিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ মুজিবনগর সরকারের শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়েছে বলে যেসব গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের বরাত দিয়ে পোস্টে বলা হয়, মুজিবনগর সরকারের নেতারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন। সশস্ত্র যুদ্ধ পরিচালনা বা নেতৃত্ব দেওয়া যারা করেছেন, তারা সরাসরি মুক্তিযোদ্ধা। সরকারের অধীনে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হবেন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি আরও বলেন, জামুকা আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, প্রবাসী কূটনীতিক ও প্রশাসনিক সহায়তাকারীদের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এতে তাদের মর্যাদা বা সম্মান হ্রাস পায়নি বরং সেই স্বীকৃতি আলাদাভাবে চিহ্নিত হয়েছে।
উপদেষ্টা জানান, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞা যে অবস্থায় ছিল, সেটিই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে কিছু পরিবর্তন আনা হলেও মূল কাঠামো অক্ষুণ্ন রয়েছে এবং সম্মান ও সুবিধা একই থাকছে।
এর আগে, গত সোমবার রাতে সরকার জামুকা আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করে। সেখানে বলা হয়, কেবল সরাসরি যুদ্ধ অংশগ্রহণকারীদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে গণ্য করা হবে।
এই খবরে বিভ্রান্ত হয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচারিত হয় যে, শেখ মুজিবসহ জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়েছে। প্রেস উইংয়ের এই ব্যাখ্যার মাধ্যমে সেই বিভ্রান্তির নিরসন ঘটেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।