প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১১:২৩
জাপানের টোকিওতে ‘নিক্কেই ফোরাম : এশিয়ার ৩০তম ভবিষ্যৎ’ সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালবেলায় অনুষ্ঠিত এ অধিবেশনে তিনি একাত্মতা, অন্তর্ভুক্তি এবং সহযোগিতার বার্তা দেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ভবিষ্যতের দিকে আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতে হবে এবং যৌথভাবে কাজের মধ্য দিয়ে অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এশিয়ার দেশগুলো একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে এই অঞ্চলকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে পারবে।
সম্মেলনে ইউনূস সাতটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল এশিয়ার পারস্পরিক নির্ভরতাকে সহযোগিতায় রূপান্তর করা। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং রাজনীতির বৈচিত্র্যই আমাদের শক্তি এবং এই বৈচিত্র্যের সঠিক ব্যবস্থাপনাই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এশিয়া এখনো বিশ্বের সবচেয়ে কম সংযুক্ত বাণিজ্যিক অঞ্চলগুলোর একটি। তাই এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বিষয়েও তিনি বলেন, আমাদের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রযুক্তিগত অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের সমান অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। এই প্রযুক্তি যেন সুবিধা বঞ্চিতদের হাতেও পৌঁছে যায়, সেটি নিশ্চিত করাও জরুরি।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সামাজিক ব্যবসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবিক বিনিয়োগে মনোযোগ বাড়াতে হবে। কেবল অবকাঠামো নয়, মানুষকেও উন্নয়নের কেন্দ্রে রাখতে হবে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে দৃষ্টি রেখে তিনি বলেন, আমরা যাদের প্রায়শই ভুলে যাই, তাদেরও মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য আমাদের ভাবতে হবে। তাদের জন্য টেকসই সুযোগ তৈরি করাই হবে প্রকৃত উন্নয়ন।
উল্লেখ্য, সম্মেলনে অংশ নিতে অধ্যাপক ইউনূস বুধবার (২৮ মে) টোকিও পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী।