দেশের বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে ভূমিকম্প

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার প্রায় ১০৫ কিলোমিটার দূরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশপাশে। ভূমিকম্পটি খুব বেশি শক্তিশালী না হওয়ায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে একইদিন সকালে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারেও ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১ এবং এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের ফলে সেখানে আফটারশকের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ মার্চ মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এক মহাশক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। শত বছরের ইতিহাসে দেশটির সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পে শত শত বছরের পুরনো গির্জা, মন্দির ও আধুনিক ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

মিয়ানমারের সরকারি হিসাব অনুযায়ী ওই ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৬ হাজার মানুষ। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ হাজারের বেশি। এছাড়া বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পরপরই আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শুরু হয়। চীন, রাশিয়া ও ভারত প্রথম দফায় উদ্ধারকারী দল পাঠায়। পরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়।

বাংলাদেশ থেকে পাঠানো উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষদের জীবিত উদ্ধার ও নিহতদের শনাক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে ভূমিকম্পের পর আফটারশক এবং দুর্যোগের কারণে উদ্ধার কাজ বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।