দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের গুলশানে অবস্থিত ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে, সোমবার (১০ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ এবং পাঁচটি দেশে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৩৫ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে।
প্রেস সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে হাসিনার পরিবারের সদস্যদের ১২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬৩৫ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও, রাজউকের মাধ্যমে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা মূল্যের ৬০ কাঠা প্লট এবং ৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার ১০ শতাংশ জমিসহ ৮টি ফ্ল্যাট খুঁজে পাওয়া গেছে। এসব খোঁজ-খবর বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত তদন্তের ফলস্বরূপ প্রাপ্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, টিউলিপ সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তিনি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে এবং যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে লেবার পার্টির সদস্য। সম্প্রতি, আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে তার নাম উঠার পর তিনি সিটি মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যেও দুর্নীতি তদন্ত চলছে। বাংলাদেশে সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে দুদক তদন্ত শুরু করে। একইসঙ্গে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্ত করছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)।
এর আগেও গাজীপুরে টিউলিপ সিদ্দিকের বাগানবাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তি শনাক্ত করা হয়েছে। সিটি মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগের আগে লন্ডনে তার বেশ কয়েকটি সম্পত্তির কথা প্রকাশ্যে আসে, যার মধ্যে একটি ফ্ল্যাট তাকে উপহার দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট একজন ব্যবসায়ী। তবে অভিযোগ রয়েছে, এই ফ্ল্যাট প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থে কেনা হয়েছে এবং এটি দুর্নীতির অর্থের ভাগ হিসেবে তাকে দেওয়া হয়েছে।
এই সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তে তদন্তকারীরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং মামলার সুষ্ঠু নিষ্পত্তির আশা করছেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।