প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৮
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। তিনি বলেন, নির্বাচন শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করেন।
বৈঠকের পর যৌথ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অপার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের এখানে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। বিনিয়োগ বাড়ানো দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর জোর দেন। তিনি আসিয়ান বা সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের সহযোগিতা চাইছেন এই সংকট মোকাবেলায়, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে সকালে পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক করেন। দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়, যা বিভিন্ন খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
ড. ইউনূসের মালয়েশিয়া সফর গত সোমবার শুরু হয়। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তিনি বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে কুয়ালালামপুরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল প্রধান উপদেষ্টাকে গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানান।
সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফওজুল কবির খানসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
আগামী ১২ আগস্ট মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান (ইউকেএম) ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করবে। এতে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মালয়েশিয়া সফর সফল হলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অভিবাসন ও বিনিয়োগ দুই ক্ষেত্রেই নতুন উদ্যোগ নেওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হয়েছে, যা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।