খাগড়াছড়িতে নতুন ভোটারদের ভোগান্তি, সেবা না পাওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আরিফুল ইসলাম মহিন -খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩০শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
খাগড়াছড়িতে নতুন ভোটারদের ভোগান্তি, সেবা না পাওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

খাগড়াছড়ি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের নতুন ভোটার হতে আগ্রহী নাগরিকরা নাগরিক সনদ ও জন্মনিবন্ধনসহ বিভিন্ন সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে, এসব ভুক্তভোগীরা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় ঘেরাও করে এক ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা, যারা অভিযোগ করেছেন যে, নাগরিক সনদ ও জন্মনিবন্ধন পেতে তারা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।  


বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন যে, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদ দিতে টাকা দাবী করছেন এবং বাঙালীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। তারা আরও জানান, চলতি ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে নাগরিক সনদ লাগলেও তিনি সেগুলোর ওপর স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন, যা তাদের জন্য আরও কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।  


এদিকে, তৃপ্তি শংকর চাকমা এ অভিযোগগুলো অস্বীকার করে বলেন, তিনি একজন চতুর্থ গ্রেড কর্মকর্তা এবং তার ওপর অতিরিক্ত কাজ চাপানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন, তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্যই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।  


অপরদিকে, বিক্ষোভে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করতে সাহায্য করে।  


এ ঘটনায় স্থানীয়রা জানান, নাগরিক সনদ ও জন্মনিবন্ধন পেতে এমন জটিলতা থাকা তাদের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের মতে, ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের সময় এসব সেবা সহজলভ্য হওয়া উচিত, কিন্তু এই ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তাদের হতাশ করছে।  


এমন পরিস্থিতির প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, তারা বারবার সেবা নেওয়ার জন্য অফিসে গিয়েছেন, কিন্তু কর্মকর্তাদের অনাগ্রহ ও অর্থের দাবি তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।  


তবে, পৌর প্রশাসক এর আগেও ঘোষণা করেছিলেন যে, মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণের পর নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। যদিও, এই ঘটনাগুলি প্রশ্ন উঠাচ্ছে যে, নাগরিক সেবা প্রদানকারীদের পেশাদারি কতটা কার্যকর।  


বর্তমানে, স্থানীয় জনগণের দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজের প্রতি আরও মনোযোগ এবং স্বচ্ছতা প্রদান করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা পুনরায় সৃষ্টি না হয়।