ঝিনাইদহ জেলা কৃষকদলের আহবায়ক কমিটি বাতিল এবং আহবায়ক ওসমান আলী বিশ্বাসকে কৃষকদলের সব পদ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন পদত্যাগকারী নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা কৃষকদলের যুগ্ম-আহবায়ক হাফিজুর রশিদ স্বপন। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-আহবায়ক লাবলুর রহমান বাবলু, কামাল হোসেন, আব্দুর রউফ, সদস্য আবু জাফর এবং পৌর কৃষকদলের যুগ্ম-আহবায়ক শহীদুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, সদর উপজেলা ও পৌর কৃষকদলের আহবায়ক কমিটিতে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের উপেক্ষা করে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। এ ছাড়া আহবায়ক ওসমান আলী বিশ্বাস একক সিদ্ধান্তে আত্মীয়-স্বজন ও ব্যক্তিগত কর্মচারীদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের নির্বাহী কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ঝিনাইদহ জেলা আহবায়ক ওসমান আলী বিশ্বাস অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন পদ বেচাকেনা করেছেন।
পদত্যাগকারী নেতারা বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান "এক নেতার এক পদ" নীতির কথা বারবার বলে আসছেন। অথচ ওসমান আলী বিশ্বাস একাই পাঁচটি পদ দখল করে আছেন, যা দলের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা, উপজেলা ও পৌর কৃষকদলের প্রায় ৯০ জন নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১১ ডিসেম্বর দেশের ৬৩টি জেলায় কৃষকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হলেও ঝিনাইদহে তা পালন করা হয়নি। এমনকি ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবসও কৃষকদলের ব্যানারে পালন করা হয়নি।
পদত্যাগকারী নেতারা বিতর্কিত কমিটি বাতিল এবং ওসমান আলী বিশ্বাসকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানান। তারা কেন্দ্রীয় কৃষকদলের কাছে আহ্বান জানান, যেন নেতাদের মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং দলকে সঠিক পথে পরিচালিত করা হয়।
তারা হুঁশিয়ারি দেন, দাবি পূরণ না হলে কৃষকদলের স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে এবং মাঠ পর্যায়ে আন্দোলনের সক্ষমতা হারাবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।