চট্টগ্রাম নিয়ে মমতার বিতর্কিত মন্তব্যে, রিজভী বলেন আমারা আমলকী চুষব না

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১০ই ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:০১ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম নিয়ে মমতার বিতর্কিত মন্তব্যে, রিজভী বলেন আমারা আমলকী চুষব না

সম্প্রতি ভারতের বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি ভারতের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে উত্থাপিত দাবির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ভারত যেন মনে না করে বাংলাদেশ তাদের পছন্দমতো দখল করতে পারবে। তিনি বলেন, "আপনারা যদি চট্টগ্রাম দাবি করেন, তাহলে আমরা বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা এসব দাবি করতে পারি।" 


মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে 'দেশীয় পণ্য কিনে হন ধন্য' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী বলেন, "আপনারা যদি চট্টগ্রামের দিকে তাকান, আমরা কী আমলকী মুখে দিয়ে চুষবো? তা তো আমরা চুষবো না।" তিনি ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে অগ্রাহ্য করার উদাহরণ তুলে ধরে আরও বলেন, “ভারত সবসময় মনে করে বাংলাদেশ তাদের তাঁবেদার হয়ে থাকবে, কিন্তু আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাধীনভাবে চলব।”


রিজভী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “বাংলাদেশ থেকে যদি কেউ চট্টগ্রাম দখল করতে আসে, তাহলে আমরা কি বসে বসে ললিপপ খাবো?” তিনি মন্তব্য করেন, ভারতের শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে নাক গলানোর চেষ্টা করছে, এবং এর প্রতিবাদে বাংলাদেশ কখনো দাঁড়িয়ে থাকবে।


বিএনপি নেতা আরও বলেন, "আমরা আমাদের দেশীয় পণ্য নিয়ে গর্ব করব। আমরা আমাদের রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইলের শাড়ি, কুমারখালির লুঙ্গি, পাবনা-সিরাজগঞ্জের তাঁতের শাড়ি নিয়ে গর্বিত। ভারতীয় পণ্য থেকে আমরা বর্জন করছি কারণ তারা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সঠিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখেনি। তাদের বন্ধুত্ব শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে।"


এসময় রিজভী ভারতীয় একটি বিছানার চাদর মাটিতে ফেলে দেন এবং বিএনপির কর্মীরা সেটিতে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ জানান। তিনি দেশীয় পণ্য বিক্রির মাধ্যমে মানুষের মধ্যে দেশীয় সামগ্রী কেনার সচেতনতা তৈরি করতে চান। অনুষ্ঠানে তিনি একশো টাকায় লুঙ্গি, দুশো টাকায় শাড়ি এবং অন্যান্য দেশীয় পণ্য বিক্রি করেন।


এ অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহ খালিদ হাসান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকারসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।