ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল)-এর অবৈধ কারবারে সিম ব্যবহারের কারণে গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে ভ্যাটসহ দুই কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিটিআরসি জানায়, গত ১২ জুলাই বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন ১৩ জুলাই গ্রামীণফোন লিমিটেড এবং ১৪ জুলাই রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট পে-অর্ডারগুলো বিটিআরসি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রবি দুই কোটি ১০ লাখ, গ্রামীণফোন ৫২ লাখ ৫০ হাজার এবং বাংলালিংক ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে।
দীর্ঘ দিন নানা দেন-দরবার ও পুননিরীক্ষণ শেষে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী প্রশাসনিক জরিমানা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট অপারেটরদের দেওয়া হয়েছিল।
এ ছাড়া গত ৩০ জুনের মধ্যে এ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল।
কিন্তু বেসরকারি অপারেটররা এ জরিমানার টাকা পরিশোধ করলেও রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক আজ পর্যন্ত জারিমানার টাকা পরিশোধ করেনি। টেলিটকের জরিমানা নির্ধারিত রয়েছে পাঁচ কোটি টাকা।
জানা যায়, ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সালের এক আগস্ট পর্যন্ত টেলিটকের ৩২ হাজার ৮৪৫টি সিম জব্দ করে বিটিআরসি।
কমিশনের নির্দেশনা ও লাইসেন্সিং শর্ত ভঙ্গ করার অপরাধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪৬ ও ৬৫ ধারার বিধান অনুযায়ী টেলেটককে প্রথমে প্রায় ১৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। টেলিটক এসব সিমের বৈধভাবে চালুর কোনো প্রমাণ (সিডিআর) দাখিল করতে পারেনি। একই সময়ে রবির জব্দ করা সিমের পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৩৯০টি। এর জন্য রবিকে প্রথমে প্রায় সাত কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া সে সময়ের মধ্যে পৃথক অভিযানে গ্রামীণফোনের দুই হাজার ৩৫৬টি এবং বাংলালিংকের ৭৫৩টি জব্দ এবং অপারেটর দুটিকে প্রথমে যথাক্রমে ৯৯ লাখ এবং ৩৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসব অপারেটরের পক্ষ থেকে জরিমানা মওকুব অথবা পুননিরীক্ষণের আবেদন জানানো হলে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর শুনানি শেষে জরিমানার টাকা অংক কমিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর গত ৭ জুন বিটিআরসির সচিব মো. নূরুল হাফিজের সই করা চিঠি সংশ্লিষ্ট অপারেটরগুলোকে পাঠানো হয়। তাতে ৩০ জুনের মধ্যে এ প্রশাসনিক জরিমানা পরিশোধের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।