খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার প্রবাসী মুসা হত্যার রহস্য ১১ বছর পর উন্মোচন করেছে পুলিশ। ২০১৩ সালে মুসা নিখোঁজ হন, এবং দীর্ঘদিন ধরে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি পারিবারিক কলহের জেরে ১১ বছর পর এই হত্যাকাণ্ডের তথ্য প্রকাশ পায়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আরেফিন জুয়েল সোমবার (১১ নভেম্বর) খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নাসিমা (প্রবাসী মুসার পরকীয়া প্রেমিকা), তার বাবা শরিয়ত উল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন দেলু এবং মনির হোসেন। এর মধ্যে নাসিমা ও শরিয়ত উল্লাহ আদালতে তাদের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়, মুসা তার স্ত্রীর ভাবি নাসিমার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়ান, যা তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ক্ষিপ্ত করে তোলে। পারিবারিক কলহের জেরে, মুসাকে হত্যা করা হয়। প্রথমে তাকে বাড়ির পেছনে মাটিচাপা দেওয়া হয়, পরে দুই দিন পর মরদেহ তুলে গহিন জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং আদালতের নির্দেশে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করেছে। অধিকতর তদন্তের জন্য মুসার মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
এ ঘটনায় মুসার মা রেহেনা বেগম গত ৩০ অক্টোবর আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।